জামিন পেলেন বিডিএ চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, তবে একই মামলায় ১২ অভিযুক্তর ১০ বছরের কারাদণ্ড
Bengal Times News, 28 March 2025
বেঙ্গল টাইমস নিউজ, বর্ধমান : অবশেষে জামিন পেলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের একটি মামলায় ২৮ মার্চ বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান-১ ব্লক সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত-র তিনবছর কারাদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তাঁর আইনজীবীদের আবেদনের ভিত্তিতে মেডিকেল গ্রাউন্ডে বিচারক বিচারক শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে কাকলি তা গুপ্ত'র জামিন মঞ্জুর হলেও ওই মামলায় বর্ধমান-১ ব্লকের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ সহ ১২ জন অভিযুক্তকে ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
কাকলি তা গুপ্ত-র আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, যেহেতু তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয়। তাই সাজা প্রাপ্ত কাকলি তা গুপ্ত-র জামিনের জন্য আজকেই রিট পিটিশন জমা দেওয়া হয় বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্রের কাছে। তিনি ২০ হাজার টাকার বেলবণ্ডের বিনিময়ে পিটিশন গ্রহণ করে জামিন ঘোষণা করেন।
তবে এই জামিন অস্থায়ী। হাইকোর্টে জামিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে খুনের চেষ্টা, মারধর সহ একাধিক ধারায় রুজু হওয়া একটি মামলায় বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, ব্লকের যুব সভাপতি তথা বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ এবং রায়ান ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি সেখ জামাল সহ ১৩ জনকে ২৪ মার্চ দোষী সাব্যস্ত করেন বর্ধমানের ফাস্ট ট্রাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। সেদিনই আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থতাবোধ করায় কাকলি তা গুপ্ত , মানস ভট্টাচার্য, কার্তিক বাগ এবং সেখ জামালকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। বুকে তীব্র ব্যাথা ও ইসিজি রির্পোটে সমস্যা থাকায় সেখান থেকে কাকলি তা গুপ্ত -কে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি উইংস অনাময় হাসপাতালে। ২৫ মার্চ আদালতে অভিযুক্তরা সকলে হাজির না হওয়ায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে যায়। ২৬ মার্চ দুপুরের পর অভিযুক্ত ১২ জনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। ওই দিন কাকলী তা গুপ্ত'র বয়ান হাসপাতাল থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শোনেন বিচারক। ২৭ মার্চ বর্ধমান জেলা আদালতের একজন আইনজীবীর মৃত্যুতে সাজা ঘোষণা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২৮ মার্চ বিকেলে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারক অরবিন্দ মিশ্র।
জানা যায় কাকলী তা গুপ্ত'র আইনজীবী ৩৬০ ধারায় একটা আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন বিবেচনা না করলেও তাঁর অসুস্থতার কারণে তিন বছর সাজা ঘোষণা হয়েছে। যদি পরে রিট পিটিশনে তাঁর অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয়েছে।