বিচার বিভাগীয় হেফাজতে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত সহ ১৩ জন তৃণমূলের নেতাকর্মী
Bengal Times News, 24 March 2025
বেঙ্গল টাইমস নিউজ, বর্ধমান : বিচার বিভাগীয় হেফাজতে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত সহ ১৩ জন। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ। সোমবার এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বর্ধমান ১ ব্লকের নাড়ীগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারাণী পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, শাসকদলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী জীবন পালকে বেধড়ক মারধর করে। তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলা এতদিন আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২৪ মার্চ ফাস্ট ট্রাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে হেফাজতে নেবার নির্দেশ দেন। বাকি দুজন বেকসুর খালাস হন। এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলী তা গুপ্ত, মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ সহ আরো তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা।
সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখার্জি জানান, বিচারক এদের হেফাজতে নেবার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল এই মামলার রায় ও সাজা ঘোষণা করার কথা। তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস ও কমল দত্ত সাংবাদিকদের জানান, 'এই মামলায় কোনো তেমন সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তবুও কীভাবে এই রায় হল তা আশ্চর্যের। এই রায়ে তারা অবাক। আগামীকাল বিচারকের সাজা ঘোষণার পর তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন'।