পরমাণু গল্প সম্মেলন ও মহামিলন উৎসব
Bengal Times News, 10 December 2024
লুতুব আলি, কলকাতা : ২৫ শব্দের পরমাণু গল্প সম্মেলন ও মহামিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হলো কলকাতায়। উদ্যোক্তা লেখনি সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র। কলকাতার বিপ্লবী নলিনী গুহ সভা কক্ষে এই বর্ণময় অনুষ্ঠানটি হয়। প্রারম্ভিক ভাষণে সকলকে স্বাগত জানান লেখনি সাহিত্যচর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্যিক রঞ্জিত কুমার পড়িয়া। ম্যাঙ্গানিজ একটি মৌলিক পদার্থ যার পারমাণবিক সংখ্যা ২৫। এই মৌলিক পদার্থটির ২৫ সংখ্যা ধরে কেবলমাত্র ২৫ শব্দের মধ্যে সাহিত্য রচনা নামকরণ করা হয়েছে পরমাণু গল্প। পরমাণু গল্প বলা হলেও একইসঙ্গে গদ্য পদ্য এবং রহস্য রচনা মূলক লেখাগুলি স্থান পেয়েছে। রঞ্জিত কুমার পড়িয়া দাবি করেন তিনিই প্রথম এই পরমাণু গল্প লেখার স্রষ্টা। এর আগে এই ধরনের উদ্যোগ কেউ যে নিয়েছেন তার জানা নেই। রঞ্জিত কুমার পড়িয়া বলেন, লেখনি সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র তথা লেখনী প্রকাশনীর উদ্যোগের ইতিহাস সৃষ্টিকারী পঁচিশ শব্দের পরমাণু গল্প সম্মেলন ও মহামিলন আক্ষরিক অর্থে সফলতা লাভ করেছে। ২৫ শব্দ দিয়ে কবি ও সাহিত্যিকদের বিভিন্ন লেখা স্থান পেয়েছে স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে যার নামকরণ করা হয়েছে বিস্ফোরণ।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন কবি ও সাহিত্যিক সৌমেন কুমার চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক মল্লিকা চক্রবর্তী, দেবপ্রসাদ জানা, শম্ভুনাথ মাইতি, চিত্রকর শিশির বোলার, পিনাকী বসু, তপন মুখার্জী, সমীর কুমার ভৌমিক, শম্পা ভট্টাচার্য, পরিবারের সম্পাদক রঞ্জিত কুমার পড়িয়া, সহ-সম্পাদক অনিমেষ বিশ্বাস, শহর সভাপতি শুভেন্দু দিন্ডা ও কৃষ্ণেন্দু হাইত, উপদেষ্টা মন্ডলীর প্রবীর চক্রবর্তী, প্রদ্যুৎ হালদার, গ্রুপ মডারেটর অনিতা পড়িয়া প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কবি সাহিত্যিক ও গুণী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এমনকি অন্যান্য রাজ্যের থেকেও অনেকে এসেছিলেন। এক সাক্ষাৎ করে রঞ্জিত কুমার পড়িয়া বলেন, অনেক অভিযোগ পাওয়া যায় যে সাহিত্যের নামে ব্যবসা চলছে। অনেক প্রতিভাবান কবি সাহিত্যিকরা অনেক ক্ষেত্রে বই ছাপাতে গিয়ে প্রতারিতও হচ্ছেন। আমরা নবীন প্রতিভাবান কবি সাহিত্যিকদের একপ্রকার বিনা পয়সায় তাদের লেখা ছাপি। কবি, সাহিত্যিকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এই অনুষ্ঠানে কবি সাহিত্যিকদের সঙ্গে সংগীত, নৃত্য, চিত্রকার, বাচিক শিল্পীদেরও বিশেষভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে একক কাব্যগ্রন্থের জন্য বাসুদেব বাগ স্মৃতি পুরস্কার, সেরা আবৃত্তিকার কে স্বর্গিয়া ননীবালা পরিয়া স্মৃতি সম্মান, কাব্যরত্ন এবং কলম রত্ন সম্মাননা ছাড়াও ৩ শতাধিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় কলকাতার বুকে এক নজির সৃষ্টিকারী মহামিলন উৎসব হল। স্মরণিকাতে যাঁরা লিখেছেন তাঁরা হলেন রতন চক্রবর্তী, তাপস কুমার সরকার, শম্পা পাল মিত্র, শম্পা ভট্টাচার্য, প্রদ্যুৎ হালদার, কৃষ্ণা পাত্র, পলাশ পাল, সাবিত্রী নন্দী, বরুণচন্দ্র পাল, দেবাশীষ পাল, পারিজাত রক্ষিত, মল্লিকা চক্রবর্তী, মৃণাল কান্তি ঘোষ, শিবানী চ্যাটার্জী, রঞ্জনা গুহ, নিতাই শর্মা, শ্যামল চক্রবর্তী, করবী সামন্ত, সাবিত্রী দাস, দীনবন্ধু ঘোষ, তরুণ কুন্ডু, মায়া রানী মজুমদার, রঞ্জিত পড়িয়া, শুভেন্দু দিন্দা, কাকলি ভট্টাচার্য, প্রবীর চক্রবর্তী, শম্ভুনাথ মাইতি, কৃষ্ণেন্দু হাইত, বিভাস দাস, গুরুপদ পুরকাইত, সৌমেন চৌধুরী, সুবল চন্দ্র দাস, নির্মল মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র শিল্পী দেবাশীষ ব্যানার্জী বলেন, কলকাতার বুকে এই বর্ণময় অনুষ্ঠানটি অনেকের নজর কেড়েছে।