Stroke Awareness
'স্ট্রোক স্মার্ট কলকাতা' প্রচার অভিযানের সাথে এবার বর্ধমানকে জুড়ে নিল মণিপাল হাসপাতাল
Bengal Times News, 12 December 2024
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি মণিপাল হাসপাতাল। স্ট্রোক সচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আরও ভালোভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে 'স্ট্রোক স্মার্ট কলকাতা' প্রচার শুরু করে একাধিকপ্রচেষ্টাকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এবার সেই 'স্ট্রোক স্মার্ট কলকাতা' প্রচার অভিযানের সাথে বর্ধমানকে জুড়ে নিল মণিপাল হাসপাতাল। গত ১১ ডিসেম্বর শহর বর্ধমানের পারবীরহাটায় সেকেন্ড ওয়াইফ ক্যাফেতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মণিপাল হাসপাতাল মুকুন্দপুর এর নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জেন ডাঃ দীপেন্দ্র কুমার প্রধান। উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হাসপাতালের মার্কেটিং ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জয়দীপ ভাদুড়ী। এছাড়াও ছিলেন গ্রোথ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সন্তোষ ভগত।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জেন ডাঃ দীপেন্দ্র কুমার প্রধান বলেন, মণিপাল হাসপাতাল ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং পাশাপাশি শহর জুড়ে স্ট্রোক সচেতনতার যথাযথ অনুশীলনের বিষয়ে সম্প্রদায়কে শিক্ষিত করতে এবং এটিকে 'স্ট্রোক স্মার্ট' শহরে পরিণত করার জন্য জীবন রক্ষাকারী দক্ষতার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়িত করার জন্য প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে বর্ধমানে এসেছেন। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাঃ প্রধান বলেন, জীবনযাত্রার কারণ, চাপ এবং অলক্ষিত সতর্কতার লক্ষণগুলির কারণে তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি যে আজকাল প্রায় ১০-১৫ শতাংশ স্ট্রোক ১৮-৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ঘটে। আমরা বর্ধমান তথা আশেপাশের এরকম বহু পেশেন্ট কে পরিষেবা দিতে পেরেছি। এই উদ্যোগটির মাধ্যমে আমরা বর্ধমানে স্ট্রোকের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য এবং ওষুধের পরিবর্তে প্রতিরোধের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে চাই। যেহেতু এই ধরনের ঝুঁকি এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো সচেতনতা জেলাবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে স্ট্রোকের ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব করা যায়।
মুকুন্দপুরের মণিপাল হাসপাতালের নিউরোসার্জেন ডাঃ দীপেন্দ্র কুমার প্রধান আরও বলেন, স্ট্রোক সচেতনতা হল প্রাথমিক চিকিৎসার উপায়, এবং সমস্ত রোগীই জানেন না যে প্রথম ঘন্টাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষকে নিরাপদে নির্ণয় এবং স্ট্রোকের জন্য চিকিৎসা করা মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যাপার। 'বি স্ট্রোক স্মার্ট' প্রচারাভিযানটি রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ মানষকে স্ট্রোকের লক্ষণগুলি তার প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করার বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যে আমরা এই কর্মসূচী নিয়েছি।
ডাঃ দীপেন্দ্র কুমার প্রধান বলেন, এই মূহুর্তে স্ট্রোক ভারতে মৃত্যুর অন্যতম একটু কারণ যাতে মৃত্যুর ঘটনা ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। যেহেতু স্ট্রোক জনসংখ্যার একটি উচ্চ শতাংশকে প্রভাবিত করে, বিশেষত ২৫-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে "বি স্ট্রোক স্মার্ট" প্রচারটি জনসাধারণের শিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ ও পরিচালনার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা।
উল্লেখ্য গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করেছে মণিপাল হাসপাতাল। সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জেন ডাঃ দীপেন্দ্র কুমার প্রধান। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কলকাতা শহর জুড়ে সচেতনতা অভিযান। হাসপাতালগুলিতে নিউরোসার্জারি আইটিইউ, এইচডিইউ এবং দিনে রাতে যেকোনো সময় নিউরোলজি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া ও স্ট্রোক রোগীদের দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা যাতে নিশ্চিত করা যায়। এবং এই রোগীরা প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা পেতে পারেন।