গ্রামের বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন
Bengal Times News, 5 September 2024
অতনু হাজরা, জামালপুর : ভারতের প্রথম উপ রাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি বিশিষ্ট দার্শনিক ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের শুভ জন্মদিন সারা দেশ জুড়ে পালন করা হয় শিক্ষক দিবস হিসেবে। ৫ সেপ্টেম্বর সারা দেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গেও এই দিনটি মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বেড়ুগ্রাম আচার্য্য গিরিশ চন্দ্র বসু বিদ্যাপীঠে সাড়ম্বরে ও মর্যাদার সাথে পালন করা হয় শিক্ষক দিবস।
এই উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ে সারাদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের সম্মানের সঙ্গে বরণ করে শ্রদ্ধা জানায় ছাত্র ছাত্রীরা। পুরো অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা। তবে অন্যান্য শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা সহযোগিতা করে। এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের বিডিও পার্থ সারথী দে ও ব্লকের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার শুভাশীষ ব্যানার্জী। ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য প্রশান্ত পাল।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিডিও সহ উপস্থিত অতিথিরা। ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণননের ছবিতে মাল্যদান করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ মালিক। বিদ্যালয়ের প্রাণ পুরুষ প্রশান্ত কুমার বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন প্রশান্ত পাল।
সারা দিন সুন্দর কিছু নৃত্যানুষ্ঠান, গান ও নাটকের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। বিডিও বিদ্যালয়ের কচি কাঁচা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নিয়ে আসেন চকলেট।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ও শিক্ষক অতনু হাজরা-কে পেন দিয়ে সম্মানিত করেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পার্থ সারথি দে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির সুদীপ ও সৃজনী। আর পুরো অনুষ্ঠানটি তত্ত্বাবধান করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সোমা হালদার। আজকের এই অনুষ্ঠান থেকেই বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এই স্কুলের অনুষ্ঠান থেকে বিডিও বসন্তপুর জুনিয়র হাই স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে গিয়ে সম্মানিত করেন সেই এলাকার প্রবীণ শিক্ষক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঘোষকে। যাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় কোনো সরকারি শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও চলছে বিদ্যালয়টি।
বিডিও পার্থ সারথী দে বলেন তিনি দুটি স্কুলে আজ শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাঁর খুব ভালো লেগেছে। আর দ্বিজেন্দ্রনাথ ঘোষদের মত শিক্ষককে সম্মানিত করতে পেরে তাঁর খুব ভালো লাগছে। এই মানুষগুলো আছে বলেই এখনও শিক্ষার কাজ সঠিক ভাবে চলছে।