Kabiguru
প্রয়াণ দিবসে কবিগুরুর প্রতি প্রণতি জানাতে বড়শুলের রায় বাড়িতে বিশেষ অনুষ্ঠান
Lutub Ali
Bengal Times News, 9 August 2024
লুতুব আলি, বড়শুল : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৩ তম প্রয়াণ দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রণতি জানালো বড়শুলের রায় বাড়ি। বিগত কুড়ি বছর ধরে বড়শুলের ভূমিপুত্র বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তরুণ রায় একক প্রচেষ্টায় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস পালন করে আসছেন। সমগ্র পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমানভাবে আজও সমাদৃত বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাত্যহিক জীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপামর বাংলা ভাষাভাষী মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। কবিগুরুর এমনই সব বর্ণময় দিকগুলি নিয়ে রায় বাড়ীর অনুষ্ঠানে আলোকপাত হয়। এই অনুষ্ঠানের সৌজন্যে হিন্দোল কালচারাল ইউনিট এক অনন্য ভূমিকা পালন করেছিল। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে স্বাগত ভাষণ দেন তরুণ রায়। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস কে প্রত্যক্ষ করতে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে রবীন্দ্র প্রেমীরা রায় বাড়িতে ভিড় জমান। এই রায় বাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বাড়ির প্রত্যেকটি সদস্য সদস্যারা রবি ঠাকুরের এই প্রয়াণ দিবসটিকে সার্থক অনুষ্ঠান করার জন্য সর্বাত্মক ভাবে প্রয়াসী হন। বিশেষ করে এই রায় বাড়ির মহিলাদের অগ্রণী ভূমিকা প্রশংসনীয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনও দিন মৃত্যু হতে পারে না! ২৫ শে বৈশাখে রবীন্দ্র প্রেমীরা কবির নান্দনিক সৃষ্টি নিয়ে বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভোর হয়ে থাকেন অন্যদিকে তাঁর মৃত্যুদিনেও নান্দনিকতার অভাব দেখতে পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়ে সমগ্র বিশ্বকে জয় করেছেন।
একজন বিশ্ববন্দিত সৃষ্টিশীল লেখক এক মহান বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন শান্তিনিকেতন। শান্তিনিকেতনের অদূরেই শ্রীনিকেতন গড়ে তুলেছিলেন। এই শ্রীনিকেতনে কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পল্লী গঠনের ব্যাপারেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সুযোগ্য পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের কথা সকলেরই জানা। এসবেরই সঙ্গে নারী প্রগতির বিষয়ে ঠাকুর পরিবারের ভূমিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বর্ণময় জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে রায় বাড়ীর এই অনুষ্ঠানে আলোচিত হয়। অনুষ্ঠানে হিন্দোল কালচারাল ইউনিট তাদের মনোজ্ঞ শ্রুতি নাটক দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। মা সকলের কাছে প্রিয়। এই ব্যাপারে কবি, সাহিত্যিক, গুণীজনেরা মায়ের ভূমিকা সবিস্তারে তাঁদের সৃজনশীল লেখনীতে ও মতামতে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বাবারও যে ভূমিকা অপরিসীম এই ব্যাপারটা সেরকম ভাবে তুলে ধরা হয় না। এই অনুষ্ঠানে বাবার ভূমিকা নিয়ে এক ধারালো শ্রুতি নাটক উপস্থাপিত করলেন তরুণ রায়ের সৌজন্যে হিন্দোল কালচারাল ইউনিট। শ্রুতি নাটকে অংশগ্রহণ করেছিলেন তরুণ রায়, নীলা মোদক, রিক্তা বিশ্বাস, শতদল চন্দ্র, সুস্মিতা চ্যাটার্জী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্য পরিচালক সুব্রত চক্রবর্তী, নাট্য ব্যক্তিত্ব ললিত কোনার, বাচিক শিল্পী স্বপন সাঁই, প্রবীর হালদার, ব্রততী ঘোষ আলী সহ শ্যামল মজুমদার, পার্থ বসু, বড়শুল ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান গৌরাঙ্গ লাল বসু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অশোক সেন, চন্দনা সরকার, ত্রিলোকেশ মন্ডল, অমিয় মিস্ত্রি প্রমুখ।