A rare instance of harmony
সম্প্রীতির বিরল নজির : হনুমানজীর পুজোর আয়োজনে মুসলমান সম্প্রদায়ের মেহের আলী
Bengal Times News, 25 July 2024
বেঙ্গল টাইমস নিউজ, মেমারি : হনুমানজীর পুজোর আয়োজন করছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের একজন। এমন ঘটনা শোনা যায় না। কিন্তু এমনটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায়। আর এই হনুমান পুজো সম্প্রীতির মিলন উৎসবের রূপ পেয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার তক্তিপুরের হনুমানজীর পুজো এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। বৃহস্পতিবার ফিতে কেটে এই সম্প্রীতির উৎসবের উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ ব্যানার্জী।
কিন্তু কি ভাবে এই পুজোর সূত্রপাত। জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় একটি হনুমানের মৃত্যু হলে সেই হনুমানটিকে সমাধিস্থ করা হয় ওই এলাকাতেই। এরপর সেখানে একটি হনুমান মন্দির স্থাপন করে শুরু হয় পূজার্চনা। হিন্দু ও মুসলমান সকলেই সেখানে ভক্তিভরে পুজো দিতে আসেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে পুজোর সব দায়িত্ব মুসলমান সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন দায়িত্বভার। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির ষ তক্তিপুরে গড়ে উঠেছে সেই মন্দির, যে মন্দির স্থাপন করেছেন ওই এলাকারই মেহের আলী।প্রত্যেক বছর আজকের দিনে হনুমান মন্দিরে পূজা-অর্চনা শুরু হয় চলে চার দিন ধরে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বসে মেলা। হিন্দু মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষ খুশিমনে হনুমান পুজোয় সামিল হন। আর এমনটা হয়ে আসছে চার বছর ধরে। ওই অঞ্চলে বহু হিন্দু-মুসলমান মানুষের বসবাস। তাঁরা সকলেই মিলেমিশে থাকেন। তাই এলাকার এই প্রসিদ্ধ মন্দিরেও দুই সম্প্রদায়ের মানুষের অবাধ বিচরণ চোখে পড়ে।
হিন্দুরীতি মেনেই পূজিত হন হনুমানজী। কোনও ধর্মীয় বেড়াজাল নেই। যে কোনও সম্প্রদায়ের মানুষ এই মন্দিরে এসে পুজো দিতে পারেন। দেশের সাম্প্রতিক অবস্থার দিক থেকে বিচার করলে, এই মন্দিরের কাহিনী হয়তো অবাক করবে সকলকেই। কিন্তু এমনটা বাস্তবেই সম্ভব করে দেখিয়েছে মেমারির এই হনুমান মন্দির।