জেনারেশন অ্যাচিভার এর উদ্যোগে সংহতি উৎসব
Bengal Times News, 9 April 2024
লুতুব আলি, কলকাতা : জেনারেশন অ্যাচিভার ৯ থেকে ৯০ এক মহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শিয়ালদহ কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে। অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল সংহতি উৎসব ২০২৪। সংহতি বর্তমানে তার করুণ রুগ্ন চেহারায় আবর্তিত। সংগঠনের কর্ণধার মানব মুখার্জী ক্ষয়িষ্ণু সংহতিকে মেরামতি করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তিনি পেশায় শিক্ষক হলেও সাহিত্য, সংস্কৃতি অনুরাগে এবং বিশিষ্ট সংগঠক। তিনি গান্ধীবাদী চিন্তাধারাকে পাথেয় করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শে দীক্ষিত হয়ে বিপন্ন সংহতির গৌরবকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। প্রতি বছরই তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠান এক ভিন্ন ধর্মী নব আঙ্গিকে উপস্থাপনা করে থাকেন। ভারতের এমন সংহতি ও বৈচিত্র্য পৃথিবীর আর কোনও দেশে দেখা যায় না। ভারতের দর্শন বৈচিত্রের মধ্যে একাকার।
মানববাবু তাঁর এই চিন্তা ধারাকে বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দিতে চান। এক ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান হওয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে সাধুবাদ জানান। মানব মুখার্জী বলেন, সুস্থ সাহিত্য সংস্কৃতিকে রাজ্যের মধ্যে ভিন রাজ্যে স্থাপিত করবার এই প্রচেষ্টা। যে সমস্ত মানুষ একে অপরের পাশে বসতে চায়না তাদেরকে একই মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংহতির বাতাবরণ তৈরি করতে হবে। এ হচ্ছে মতবাদের ফিউশন। সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান করে এই বার্তা দিতে চাইছি। সংহতি কথার আসল অর্থ অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সহ ভারতবর্ষের মহান বিপ্লবী ও মনীষীদের মহান আদর্শকে ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে হবে। সামগ্রিকভাবে ভারতে এক গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এই সংকটের মোকাবিলা করা দরকার। এই সংগঠন আরো যে দিকগুলো গুরুত্ব দিতে চাইছে সেগুলি হল : সামাজিক, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিকভাবে সমস্ত ভারতবাসীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। মহান এই ভারতবর্ষ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির কেনা নয়।
সংহতি উৎসব অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল ভিশনের কর্ণধার শামসের মল্লিক, অভিনেত্রী পায়েল সরকার, বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক, কলা সঙ্গম প্রোডাকশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লোপামুদ্রা মুখার্জী, সিইও এন্ড ডিরেক্টর অফ টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ এন্ড ইউনিভার্সিটি মোটিভেশনাল স্পিকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডঃ সুজয় বিশ্বাস, বিশিষ্ট কবি অগ্নিশিখা, বিশিষ্ট কবি পান্না দাস, অভিনেতা অনুপম সরকার, বিশিষ্ট তবলা বাদক শাওন পাল, বর্ষীয়ান নাট্যকর্মী সত্যকাম বাগচী, বিশিষ্ট কবি বরুণ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট শিক্ষক সাধন কুমার হালদার, বিশিষ্ট কবি সোমা সোম বিশ্বাস, চিত্রশিল্পী দোলকা সাগর, গবেষক ডঃ সর্বজিত যশ, ঝুমুরিয়া উৎপল মাহাতো, বিশিষ্ট সংবাদপত্র সংগ্রাহক সৈকত খাড়া, শিক্ষক রাজু প্রামানিক, অপটিমিস্ট রাজীব বসু, বাদল কর্মকার, কৌশিক গাঙ্গুলী, মধুমিতা ধূত, সুশান্ত ঘোষ, সুনীল সরকার, সৌভিক চট্টরাজ, মৃণাল কান্তি দাস, ডঃ নির্মল বর্মন, সুজাতা দে, ঐকিয়া গুপ্ত, রিতেশ ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডঃ সমীর শীল, সঞ্জয় বসু, সঞ্জয় সরকার, মুস্তাক আহমেদ, হিমেন্দু দাস, রমেন ভদ্র, ঝন্টু রায়, অনিল চন্দ্র শিকদার, বাণীব্রত, শিব শংকর বক্সী, অনুরাধা চক্রবর্তী, সীমা রায়, সুতপা চক্রবর্তী, জয়দেব চক্রবর্তী, অজয় ভট্টাচার্য, অর্ণব দত্ত, মৌসুমী বীর, শেখ মনির উদ্দিন, অপূর্ব কুমার গাঙ্গুলী, বেবি চক্রবর্তী, রাজকুমার দাস, সৌরভ দত্ত, সায়ন্তনী পাল, মেহেবুব আলম, সৌপর্ণ পাল, তনুশ্রী রায়, সুপ্রিয়া ঘোষ, মুরারী মোহন নন্দী, সায়ন কুন্ডু, অঙ্কেশ অধিকারী, স্বর্ণালী মন্ডল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেককে সম্মানিত করা হয়। সংহতি উৎসবে মননশীল আলোচনা ছাড়াও কবিতা আবৃত্তি এবং সংগীত পরিবেশিত হয়।