Bengal Times News, 1 April 2024
অতনু হাজরা, কলকাতা : ইণ্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন এর বার্ষিক সাধারণ সভা প্রেস ক্লাব, কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো। রবিবার বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত শতবর্ষের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইণ্ডিয়ান জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল এস সাবানায়কন, কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার দীপক নস্কর, বিশিষ্ট সমাজসেবী জিগর রমেশ জোশী, কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ হাসমত জালাল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, সমাজসেবী মিতেশ চন্দ্রকান্ত শেঠ, অভিষেক টিব্রেওয়াল, মুকুন্দ আগরওয়াল, অমিত সিং সহ ইণ্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্যের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শেখর সেনগুপ্ত, সহ সভাপতি তারকনাথ রায় প্রমুখ। শুরুতেই রাজ্য কমিটির সভাপতি কৃষ্ণদাস পার্থ সহ অন্যান্যরা অতিথিদের উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক ও স্মারক উপহার তুলে দিয়ে বরণ করে নেন।
পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী খুবই মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। নেতাজীর স্বাধীনতা আন্দোলনে সম্প্রীতির প্রসঙ্গ টেনে ভারতের সংবিধান, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও সাংবাদিকতা সহ বিবিধ বিষয়ের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কলকাতা প্রেস ক্লাব মেইন হল আইজেএ'র সদস্যদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরপুর। অথচ তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন গোটা হল পিন ড্রপ সাইলেন্ট। নবীন থেকে প্রবীন সকলে বুঁদ হয়ে তাঁর বক্তব্য শুনছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ইণ্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি।
অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সঙ্গে ডাকঘর নাটকের সংলাপ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা শোনান।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইণ্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস। উল্লেখ্য গত একবছর আগে ইণ্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ৩১ মার্চ সেই অনুষ্ঠানেরই পরিসমাপ্তি হলো।
সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির সদস্য জগন্নাথ ভৌমিক। তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরার সঙ্গে বরিষ্ঠ সাংবাদিকদের পেনশন নিয়ে কোনও দয়া দাক্ষিণ্য নয়, অন্যান্য রাজ্যের নিরিখে নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের দাবি জানান। এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্য বীমা চালু করার দাবি তোলেন। সাংবাদিকদের হাউসিং প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সরব হন তিনি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নদীয়া জেলার পক্ষে রাজ্য কমিটির সদস্য সুখেন্দু আচার্য সহ অন্যান্যরা।
এদিনের বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে কে বি পার্থ -কে সভাপতি ও দেবাশীষ দাস -কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ জনের নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটিতে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে রয়েছেন তারকনাথ রায়, জগন্নাথ ভৌমিক, আমিনুর রহমান ও শম্ভুলাল কর্মকার।