সুকান্ত ভট্টাচার্য'র প্রিয়তমা সু'র প্রেক্ষাপটে রোমহর্ষক উপন্যাস লিখলেন হুগলির ভূমিপুত্র ইতালি প্রবাসী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক বিপুল বিহারী হালদার
Bengal Times News, 5 March 2024
লুতুব আলি, হুগলি : কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত কবিতা প্রিয়তমা সু তে লিখেছিলেন.... পরের জন্য যুদ্ধ করেছি অনেক, এবার যুদ্ধ তোমার আর আমার জন্য। প্রশ্ন কর যদি এত যুদ্ধ করে পেলাম কী ? উত্তর তার - তিউনিশিয়ায় পেয়েছি জয়, ইতালিতে জনগণের বন্ধুত্ব, ফ্রান্সে পেয়েছি মুক্তির মন্ত্র, আর নিষ্কণ্টক বার্মায় পেলাম ঘরে ফেরার তাগাদা.... সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রিয়তমা সু কবিতায় যে আগুন ঝরানো বর্ণনা দিয়েছিলেন সেই ছবির বাস্তবিক বর্ণনা দিলেন হুগলির ভূমিপুত্র ইতালি প্রবাসী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক বিপুল বিহারী হালদার। সুকান্ত ভট্টাচার্যর কল্পলোকের জ্বালাময়ী লেখা তার বাস্তবতাকে খুব সহজেই অনুভব করা যায় বিপুল বিহারী হালদার সমগ্র পৃথিবী তন্ন তন্ন করে ঘুরে তাঁর বর্ণময় জীবনকে পাকাপাকিভাবে থিতু করেছেন ইতালির রোমে। তাঁর সুদীর্ঘ যাত্রা পথ ছিল বন্ধুরময়। কপ দর্শক শূন্য বেকার যুবকের অসীম সাহসে ভর করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। হুগলি থেকে কলকাতা, মুম্বাই হয়ে জার্মানি। ইতালিতে পৌঁছে কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন তারই চমকপ্রদ রোমাঞ্চকর বিবরণ... আত্মজীবনীমূলক রোম হর্ষক কাহিনী .. অগ্নি পথে তীর্থ যাত্রা। সম্প্রতি চুঁচুড়ার রেণু ব্যাঙ্কোয়েট হলে অগ্নি পথে তীর্থ যাত্রা বইটির প্রকাশ হয়। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার অরুণ কুমার চক্রবর্তী, প্রবীর রায় চৌধুরী, প্রদীপ চৌধুরি, নিত্যরঞ্জন দেবনাথ, বিমলা লামা, মানস সরকার, দীপক রায়, চুঁচুড়ার পৌর প্রধান অমিত রায় প্রমুখ। এক সাক্ষাৎকারে বিপুল বিহারী হালদার বলেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়দৌড়ি করতে হয়েছে। অবশেষে কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের প্রিয়তমা সু'র প্লটেে ইতালিতে জনগণের বন্ধুত্ব পাওয়ার যে কথা বলেছিলেন সেখানেই আমি পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়লাম। সেখানে সাফল্য পেয়েও বাংলার কথা, মাতৃভাষা বাংলার প্রতি এখনো আমার অমোঘ টান। সেই টানেই এখনো বারবার বাংলায় ছুটে আসি। অগ্নি পথে তীর্থ যাত্রা বইটি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় সমাদৃত হয়েছে। প্রচুর বইও বিক্রি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাহিত্যিক নলিনী বেরা বলেন, জীবন আহা কী জীবন যেন একটা ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ তরঙ্গায়িত উঁচু-নিচু বিচি মালায় আন্দোলিত হতে হতে বয়ে যাওয়া নদী প্রবাহ। এতটাই উচ্ছলিত যে একটা নদী শরীরেও তা যেন আঁটে না। উপছে উঠে দুকূল ঘনঘন প্লাবিত করছে। সেই অত্যাশ্চর্য জীবন প্রবাহ যা কিনা এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ মহাদেশ থেকে মহাদেশে প্রবাহিত। তাকে অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন বিপুল বিহারী হালদার। তাঁর অগ্নি পথে তীর্থযাত্রা উপন্যাসে। বিস্ময়কর প্লটে রচিত এ বই পড়তে ঘোর লাগে। পড়ে ঘোরের মধ্যেই আছি। আর এক বিশিষ্ট লেখক বিমল লামার কথায়... এই বই পড়ে আমি অভিভূত। কাহিনী রোম হর্ষক, রোমাঞ্চকর। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয় ও সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার নিদর্শন বলে মনে করি। এ ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অরুণ কুমার চক্রবর্তী, প্রবীর রায় চৌধুরী, নিত্যরঞ্জন দেবনাথ, মানস সরকার। বইটির প্রকাশক পোয়েটস ফাউন্ডেশন। প্রাপ্তিস্থান দেজ, মান্দাস, দে বুক সেন্টার, চুঁচুড়া বিশ্বাস বুক স্টল ও ব্যানার্জী বুক হাউস।