দক্ষিণবঙ্গ কিষান ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনশন
লুতুব আলি, দীঘা : দক্ষিণবঙ্গ কিষান ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল দীঘাতে। ১৪ মার্চ এই কনভেনশনের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দক্ষিণবঙ্গ কিষান ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কৃষাণ খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনশন ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই কনভেনশনে পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, নদীয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রতিনিধি ও সংগঠনের নেতৃত্বরা এদিনের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পূর্ণেন্দু বসু বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই কনভেনশন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছেন। বঞ্চিত কৃষকরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একজোট হয়ে দিল্লির রাজপথে নেমেছেন। আন্দোলনরত কৃষকরা যাতে সংগঠিত ভাবে তাদের প্রতিবাদ জানাতে না পারেন সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নানাভাবে বাধা দিচ্ছে ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ এর বিরোধিতা করেছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে সিএএ কার্যকরী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নোটিশ জারি করেছে। এই সর্বনাশা সি এ এ কার্যকরী হলে সাধারণ মানুষের সামনে সমূহ বিপদ নেমে আসবে। সমগ্র ভারতবর্ষের সামনে লড়াইয়ের অন্যতম প্রধান মুখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে পূর্ণেন্দু বসু তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন।
এই কনভেনশনে কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও, বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও এই শ্লোগান তোলা হয়। এই কনভেনশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, সাংসদ দোলা সেন সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয়রা। এই কনভেনশনে হাজির হয়েছিলেন হাওড়া ও মেদিনীপুর থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে চন্দ্রনাথ বসু। বাগনান কেন্দ্র কিষণ খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দ্রনাথ বসু বলেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন। এই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্ষেত মজদুর সমাজের দক্ষিণবঙ্গের কনভেনশন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই কনভেনশনে ঝাড়গ্রাম থেকে উপস্থিত ছিলেন রঞ্জিত মাহাতো, বাঁকুড়া থেকে আশুতোষ মুখার্জী, বগুলা থেকে শ্যামল সরকার, বসিরহাট থেকে আরিফুল, বারাসাত থেকে মাফুজা, মুর্শিদাবাদ থেকে আব্দুল মালেক, নদীয়ার দীপক বসু, হাবরা থেকে শক্তিপদ মান্না, আরামবাগ থেকে শেখ নিয়াজুল, পশ্চিম বর্ধমানের জয়ব্রত বৈদ্য প্রমুখ।