Magh Utsav
শিকড়ের টানে মাটির গানে ৮ দিনের বর্ধমান মাঘ উৎসব শুরু হচ্ছে ২১ জানুয়ারি
Bengal Times News, 19 January 2024
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : "শিকড়ের টানে মাটির গানে উত্তরায়ণের সাদর আহ্বানে, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মেলবন্ধন"। এই বার্তা কে সামনে রেখে বিগত বছরের মতো এবারও আয়োজিত হবে বর্ধমান মাঘ উৎসব ২০২৪। শুক্রবার বর্ধমান টাউন হল প্রাঙ্গনে বর্ধমান মাঘ উৎসবের উদ্যোক্তা তথা উৎসব কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সরকার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এবার মাঘ উৎসব দশম বর্ষে পদার্পণ করছে। আগামী ২১ জানুয়ারি বর্ধমান টাউন হল প্রাঙ্গনে উৎসবের উদ্বোধন হবে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন বর্ধমান বাজেপ্রতাপপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী অজ্ঞেয়ানন্দজী মহারাজ। উৎসব চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উৎসব কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলর বিশিষ্ট আইনজীবী অরূপ দাস, বিশিষ্ট চিকিৎসক কিরণ দাস, বিবেকানন্দ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ শিবপ্রসাদ রুদ্র, শিক্ষক জয়দেব কুন্ডু, অধ্যাপক সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
উৎসব কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সরকার আরও জানান, উৎসব মঞ্চে প্রতিদিন স্থানীয় এবং অতিথি শিল্পী সমন্বয়ে আকর্ষনীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
উল্লেখযোগ্য শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন ২২ জানুয়ারি তন্ময় কর অ্যান্ড ফ্রেন্ডস এর লোকগান, ২৩ জানুয়ারি নন্দী সিস্টার্স (মুম্বাই), ২৪ জানুয়ারি সারেগামাপা খ্যাত অনন্যা চক্রবর্তী (লোকগান), ২৫ জানুয়ারি সুরজিৎ ও বন্ধুরা, ২৬ জানুয়ারি সারেগামাপা খ্যাত উর্মি চৌধুরী (লোকগান), ২৭ জানুয়ারি গুরুজিৎ সিং (ভক্তিগীতি) এবং উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি ফকিরা লোকগান। সব মিলিয়ে ৮ দিনের জমজমাট উৎসব।
উৎসব কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সূচিতে উল্লেখ করেছেন
'প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ। সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ'- বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। আজকের দিনের উৎসব তাই মনুষ্যত্বের শক্তিকে সঞ্চার করারই প্রয়াস। জীবন আমাদের এই শিক্ষা দিয়ে যায় যে মনুষ্যত্বের প্রবল শক্তি দিয়ে জীবনের বিপর্যয়কে অতিক্রম করতে হয়। উৎসবের দিনে মানুষ একত্র হয় তার অন্তরের মনুষ্যত্বের শক্তিকে অনুভব করতে। মানুষে মানুষে সার্থক মিলনেই একক মানুষ নিজের ক্ষুদ্রতার বন্ধন ছিন্ন করে বৃহতের বন্ধনে বাঁধা পড়ে। তৈরী হয় সমাজের নতুন পরিচয় লিপি। ভাবীকাল সেই পরিচয় লিপির পথ ধরেই এগিয়ে চলে-তৈরী হয় উন্নত থেকে উন্নততর সমাজ।