কথা শিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর নামে রেল স্টেশনের দাবিতে সরব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বজন
Bengal Times News, 17 January 2024
লুতুব আলি, হাওড়া : হাওড়া ও হুগলিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস পালিত। কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস পালন করলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজন। হুগলির দেবানন্দপুরের বসত ভিটে ও হাওড়ার দেবানন্দপুর এর বাসভবনে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তিরোধান দিবসটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজন। স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসুর নেতৃত্বে এই দুই জায়গায় তিরোধান দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার মানুষের উপস্থিতিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তিরোধান দিবসটি স্মরণ করা হয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আজও বাঙালি পাঠক সমাজের কাছে সমানভাবে সমাদৃত। এই কথা শিল্পী মাটির কাছাকাছি মানুষদের জীবন সংগ্রামের কথা খুবই সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর লেখা গল্প, উপন্যাস মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় বলে এদিনের তিরোধান দিবসে বক্তারা উল্লেখ করেন। সমগ্র পৃথিবীর ২৯ কোটি বাঙালির হৃদয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজও বিরাজ করেন।
হুগলির দেবানন্দপুর এ জন্ম হলেও কর্মসূত্রে তিনি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে অবসর জীবনে হাওড়ার দেউলটিতে তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত কাটান। এখানে থাকাকালীনই তিনি উল্লেখযোগ্য অনেক বই লিখেছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর লাইনে দেউলটি স্টেশনের সন্নিকটে সমতা বেড় গ্রামে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজন দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে দেউলটি স্টেশনকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে করার জন্য আন্দোলন করে আসছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু।
১৬ জানুয়ারি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুই জায়গার ভিটে থেকে মাটি ও গাছ এনে এদিন দেউলটি স্টেশনের স্টেশন মাস্টরকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে স্টেশন করার জন্য ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ডেপুটেশনে উল্লেখ করা হয় জীবনের শেষ ১২ বছর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেউলটির সামতাবের গ্রামে ছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত এই সামতাবের-কে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পর্যটন বিভাগের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই সামতাবের হেরিটেজ হিসাবে গৃহীত হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ শরৎচন্দ্রের বাসভবনটিকে প্রত্যক্ষ করতে ছুটে আসেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি অবিলম্বে দেউলটি স্টেশনকে শরৎচন্দ্রের নামে করার দাবি জানায়।
এই আরজি বাস্তবায়িত না হলে স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থাটির নেতৃত্বে রেল লাইনে বসে কবিতা পাঠের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এই পন্থায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রেল চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।