নির্বাচনের কাজে সরকারের কাছে বকেয়া আড়াইশো কোটি, আন্দোলনে ঠিকাদার সংগঠন
Bengal Times News, 16 January 2024
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : সরকারি নির্দেশনামায় কাজ করে বকেয়া টাকা না পেয়ে পিডব্লুডি ইলেকট্রিক্যাল দপ্তরের ঠিকাদাররা চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ১৬ জানুয়ারি বকেয়া টাকার দাবিতে ঠিকাদার সংস্থাগুলোর সংগঠন ওয়েষ্ট বেঙ্গল পিডব্লুডি ইলেকট্রিক্যাল কনট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এদিন বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থা সংগঠনের ছত্রছায়ায় পিডব্লুডি ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর কাছে বকেয়া টাকার দাবিতে ডেপুটেশন দিয়েছে। ওয়েষ্ট বেঙ্গল পিডব্লুডি ইলেকট্রিক্যাল কনট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক গৌতম দাস সহ উপস্থিত ছিলেন উদয় কুন্ডু, রামশঙ্কর নাগ, বাপি মন্ডল, সুমন মাজি, কাজী মমিনুল হক, দেবব্রত সোম, জয়দেব ঘোষ প্রমুখ।
১৬ জানুয়ারি ডেপুটেশনের পর সংগঠনের সদস্যরা বর্ধমান গঙ্গা কিশোর ভট্টাচার্য প্রেস কর্ণারে এসে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন। সম্পাদক গৌতম দাস ও উদয় কুন্ডু জানান, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন মহকুমায় সিআরপিএফ জওয়ানদের থাকার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা ইলেকট্রিকের কাজ করেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই কাজ বাবদ তাদের পাওনা প্রায় ১৩ কোটি টাকা। গোটা রাজ্যে এই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। ৩ বছর আগে বিধানসভা ভোটের সময় কাজ করে এখনো পর্যন্ত সেই টাকা না পাওয়ায় তাদের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। সরকারের কাছে এই বিশাল পরিমাণ টাকা বকেয়া থাকায় তাঁরা অন্য কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে পারছেন না। এতে আর্থিকভাবে চরম সংকটের মুখে পড়েছেন। প্রেস কর্ণারে বসে ঠিকাদাররা বলেন, বকেয়া টাকা পাওয়া না গেলে তাদের আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প পথ নেই।
উদয় কুণ্ডু জানান, তাঁরা এই বকেয়া টাকা চেয়ে বারবার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। তাই রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় ঠিকাদাররা এই বকেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন। টাকা না পাওয়া গেলে রাজ্য জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন। সেক্ষেত্রে সামনেই ফের ভোট, প্রশাসন সমস্যায় পড়লে তাঁরা দায়ী থাকবেন না।