Creative Cultural Foundation
কলকাতার আইসিসিআরএ অনুষ্ঠিত হল সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন এর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী
.
Bengal Times News, 23 December 2023
লুতুব আলি, কলকাতা : কলকাতার আইসিসিআরএ অনুষ্ঠিত হল সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন এর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী। আইসিসি আর যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে বর্ণময় চিত্র প্রদর্শনী ঘিরে উন্মাদনার সঞ্চার হয়। এই চিত্র প্রদর্শনীতে ২০০ জন চিত্রশিক্ষক ও তার ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনী প্রথম দিন থেকে চিত্র-প্রেমীদের ভিড় উপছে পড়েছিল। শেষের দিন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত চিত্রশিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে প্রশংসা পত্র ও স্মারক তুলে দিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিহির আসন অলংকৃত করেছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তপন রায়, চিত্রশিল্পী দেবপ্রসাদ হাজরা, চিত্রশিল্পী উচ্চারণ চন্দ্র আর্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর সমাদ্দার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট তবলা বাধ্য শিল্পী এবং সুরকার পন্ডিত মোল্লার ঘোষ, চিত্রশিল্পী গৌতম দাস এবং বিশিষ্ট কবি ও বাসিক শিল্পী ও অভিনেত্রী মল্লিকা ঘোষ। সম্মানীয় অতিথিদের বরণ করে নেয়া হয় এবং স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করেন সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন এর সদস্যরা।
অতিথিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন শিল্পীদের প্রতি। দেবপ্রসাদ হাজার বক্তব্যের মূল কথা ছিল কোন ছবি কপি করে আঁকা উচিত নয়, ভালো ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার ধারাকে অনুসরণ করা যায় কিন্তু অনুকরণ কখনোই নয়। তপনবাবু জানালেন, এই ধরনের প্রদর্শনী শিশু মনে ভালো ছবি আঁকার আগ্রহ আর ও বাড়িয়ে দিল। দীপঙ্কর বাবু বলেন, অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আপনার বাচ্চা যখন ছবি আঁকবে তখনই তার ছবিকে খারাপ বলে নিরোধ সাহিত্য করবেন না এবং অন্যের ছবির সঙ্গে তুলনা করে তোমার ওর মতো হচ্ছে না কেন এই কথা কখনোই বলবেন না। বিশিষ্ট অতিথি গৌতম দাস, মোল্লার ঘোষ এবং মল্লিক কা ঘোষের বক্তব্যে উঠে এলো মূল কথা: সংস্থার চেয়ারম্যান অমিত দাস এর প্রতিষ্ঠায় সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন যেভাবে চিত্রশিল্পীদের এবং অন্যান্য শিল্পীদের উৎসাহ দিতে প্রদর্শনীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছে তাতে প্রত্যেকশিল্পীরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে উৎসাহ পাচ্ছে। সর্বাগ্রে অমিত দাসের এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। চিত্রশিক্ষকদের অসাধারণ জলরঙ, পেন্সিল, তেল রং এবং এক্রিলিক পেইন্টিং এর অপূর্ব নিদর্শন লক্ষ্য করা গেল। যেমন অমিতাভওগুপ্তের ঘন্টা ছবিটি, সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের নিসর্গ চিত্র, শায়খ মজুমদারের মা কালী, শিল্পী মৌমিতার সেতার শিল্পী, রাজিব সাধুখানের ফুল, বিশ ভানু শিল্পীর সেলুন, চন্দন পালের ডান্ডিয়া প্রত্যেকের ছবিগুলি বেশ দৃষ্টিনন্দন।
এছাড়াও প্রশংসার দাবি রাখে বিদ্যা দাস, নন্দিনী সাউ, প্রদুষ্ন নায়েক, সৌরিক মাহাতো, সুমেধা সোম, ময়ূক চক্রবর্তী, তুষার পান্ডে, সমৃদ্ধা ব্যানার্জি, অমিত প্রজাপতির কাজগুলো ব্যতিক্রমী। শ্রেণিকক্ষে ছবিগুলো আরেকটু organize ভাবে সাজালে হয়তো আরো ভালো লাগতো এবং জায়গা অনুযায়ী ছবির সংখ্যা অনেকটাই বেশি লক্ষ্য করা গেল। তবে আই সি সি আর এর যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে যে সমস্ত শিশু শিল্পীদের ছবি স্থান পেল তারা এতে অনেকটাই অনুপ্রাণিত হলো এ কথা হলফ করে বলা যায়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এক কথায় তিন দিন ধরে এই চিত্র প্রদর্শনী ও শেষ দিনের অনুষ্ঠান চমকপ্রদ। এই ধরনের উৎসাহ মূলক কাজ আগামী দিনে অনেক শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে একথা দিনের আলোর মত পরিষ্কার।