Common people's rights in North Bengal
উত্তরবঙ্গে সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষায় ক্রমশঃ সরব হচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন
Bengal Times News, 11 November 2023
লুতুব আলি, দার্জিলিং : দার্জিলিং এর পাহাড়ে পাহাড়-প্রমাণ সমস্যা ও কোচবিহার সীমান্তের নানা রকম অত্যাচারের ফলে মানুষের প্রাত্যহিক জীবন দুর্বিসহ হওয়ার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি এ পি ডি আর এর পুরোধা রঞ্জিত শূর ও আলতাফ আহমেদ এ ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দার্জিলিং এর জি ডি এন এস লাইব্রেরী হলে এ পি ডি আর এর দার্জিলিং জেলা কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে আছেন ২২ জন সদস্য। দুইজনকে কনভেনার করা হয়েছে। প্রথমজন হলেন অনুলতা গুরুং, দ্বিতীয় জন সুদান গুরুং। দার্জিলিং জেলা কমিটি গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর পক্ষে দু'জন সহ-সম্পাদক আলতাফ আহমেদ, মৌতলী নাগ সরকার। সহ-সভাপতি সোমনাথ বসু ও দু'জন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী সদস্য রাহুল চক্রবর্তী ও জয়দেব দাস। সংগঠনের পক্ষে আলতাফ আহমেদ এক প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করেন যে দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের মানুষের অধিকার দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পেষিত হচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিক বঞ্চনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চলছে। পুলিশি আক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তাই অধিকার আন্দোলনে সামিল হতে চাইছেন পাহাড়ের মানুষেরা। আর টি আই অ্যাক্টিভিস্ট, চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা মানুষ, ছাত্র এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা, মহিলারাও এ পি ডি আর এর ছাতার তলায় এসে হাজির হচ্ছেন।
দার্জিলিঙে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও মানবাধিকার কর্মী অনুলতা গুরুং। অনুলতা গুরুং এই প্রতিবেদককে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পাহাড়ে ক্রমশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে অধিকাংশ চা বাগানের মালিকেরা শ্রমিকদের উপর শোষণ করছেন। একের পর এক চা বাগান বন্ধ হওয়ার ফলে বেকার সমস্যাও বেড়ে চলেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পাহাড়ের মানুষদের নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হবে। অন্যদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ও এ পি ডি আর এর তুফানগঞ্জ কোচবিহার জেলা কমিটি তৈরি হয়েছে। এখানেও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। কোচবিহার জেলা আহ্বায়ক পদে আছেন বাকির হোসেন, জৈনুদ্দিন সরকার, মঞ্জি খালেদা, আব্দুল সাত্তার। এ পি ডি আর এর আলিপুরদুয়ার শাখার সদস্যরাও শাখা গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলতাফ আহমেদ বলেন, কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর নির্মম অত্যাচারে কৃষক ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ হচ্ছে। অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক দেন। কোচবিহারের নেতৃত্ব বাকির হোসেন এই প্রতিবেদক কে বলেন, কোচবিহারের কাঁটাতারের ভিতর তাদের ১৬ বিঘা জমি আছে। বিএসএফ তাদের চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না। জুলুম চালাচ্ছে। কোচবিহারের সীমান্তের সমস্ত জায়গায় এইরকম একই ছবি ধরা পড়ছে। সমগ্র উত্তরবঙ্গ ব্যাপী এপিডিআর তাদের গণ আন্দোলন সংগঠিত করবেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতৃত্বরা জানান।