Rural Puja Carnival
শহরের ধাঁচে জামালপুরেও এবার পূজা কার্নিভাল
Bengal Times News, 10 October 2023
অতনু হাজরা, জামালপুর : ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে কলকাতার দুর্গাপূজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার দুর্গা পুজোকে এক অন্যরকম আঙ্গিকে উপস্থাপন করার জন্য চালু করেছিলেন পূজা কার্নিভাল। যা এখন উৎসবে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন এই পূজা কার্নিভাল দেখতে। পরবর্তী পর্যায়ে কলকাতার সঙ্গে অন্যান্য জেলায় জেলায়ও শুরু হয় পূজা কার্নিভাল। গত বছর পূর্বস্থলি ১ ব্লকে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর উদ্যোগে গ্রামীণ পূজা কার্ণিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রাজ্যে গ্রামীণস্তরে এটাই প্রথম পূজা কার্ণিভাল। সেই ধারাতেই এবছর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের জামালপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের উদ্যোগে করতে চলেছে পূজা কার্নিভাল।
সেই উপলক্ষে আজ তারা পঞ্চায়েতের মিটিং হলে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কথা জানান। আনুষ্ঠানিকভাবে এর সূচনা করেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান। প্রধান ডলি নন্দী ও উপপ্রধান শাহাবুদ্দিন মন্ডল সহ পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যা, কর্মী ও বারোয়ারি পুজোর সভাপতি, সম্পাদক সহ সদস্যরা। উপপ্রধান শাহাবুদ্দিন মন্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই তারা অনুসরণ করে চলেছেন। গ্রামের অনেক মানুষই সব সময়, সময় করে ঠাকুর দেখতে বেরোতে পারে না। তাছাড়া পূজা কার্নিভাল কি এর সঙ্গেও তারা পরিচিত নয়। তাই তারা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে এই প্রথম পূজা কার্নিভাল করতে চলেছেন। প্রথমে ছটি বারোয়ারি পুজো অংশগ্রহণ করবে বলে স্থির হয়েছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এই কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বারোয়ারিকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে শাহাবুদ্দিন বাবু জানান। এই কার্নিভাল শুরু হালারা বিপত্তারিণী তলা থেকে, শেষ হবে জামালপুর পুল মাথায়। সেখানেই হবে একটি অনুষ্ঠান। প্রত্যেকটি বারোয়ারীকে কুড়ি মিনিট করে সময় হবে দেওয়া হবে তাদের থিম বা চিন্তা ভাবনা উপস্থাপন করার জন্য। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি তিনি পঞ্চায়েতকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান এই রকম একটা উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যা ভাবেন যা করেন তা সকলেই অনুসরণ করার চেষ্টা করে। বাংলার বুকে এই ধরনের অনুষ্ঠান গ্রাম বাংলার মানুষদের আলাদাভাবে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করবে। অংশগ্রহণকারী পূজা কমিটি গুলি তাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জামালপুরের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে। তিনি তার দিক থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন বলে কথা দেন। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান বলেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তিনি প্রধান ডলি নন্দী, উপপ্রধান শাহাবুদ্দিন মন্ডল সহ সমস্ত পঞ্চায়েতকেই ধন্যবাদ জানান। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকেও পঞ্চায়েতকে এই অনুষ্ঠানের জন্য সাহায্য করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। উপস্থিত পূজা কমিটির সভাপতি সম্পাদক ও সদস্য তারাও উচ্ছ্বসিত। জামালপুরের বুকে এক অভিনব ও অনন্য অনুষ্ঠান করতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য।