Miyajaki Mango
দুবরাজপুরের পর জামালপুরে সন্ধান মিললো আড়াই লাখের মিয়াজাকি আম
Bengal Times News, 12 June 2023
অতনু হাজরা, জামালপুর : বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের মসজিদের আম গাছে জাপানি প্রজাতির মিয়াজাকি আম ফলেছে। আর সেই আম প্রচারের আলোয় আসতেই জেলায় জেলায় এখন এই দামি আম নিয়ে সকলেই সচেতন। এই আমের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা প্রতি কেজি। সেই আম গাছেরই সন্ধান মিলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে। তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান তার নিজের বাড়িতে ফলিয়েছেন ভারতবর্ষের কেন পৃথিবীর এক অন্যতম বিরল প্রজাতির আম মিয়াজাকি।
যে আম সাধারণত খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। যদিও বীরভূম জেলায় বেশ কয়েকদিন এই মিয়াজাকি আমের খবর সংবাদ শিরোনামে ঘুরছে। অথচ বিগত তিন বছর ধরে এই আম ফলছে জামালপুরে মেহেমুদ খানের বাড়ির গাছে। কিন্তু তিনি জানতেন না যে এটি একটি বিরল প্রজাতির আম। বীরভূম জেলার আমের খবর দেখে তিনি দেখেন যে তার বাড়ির গাছের আমটিও ঠিক একই রকম দেখতে। এই খবর পেয়ে তার বাড়িতে 'সংবাদ প্রভাতী' এবং 'বেঙ্গল টাইমস নিউজ' এর পক্ষ থেকে পৌঁছে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে আমের ছবি, আম গাছের ছবি তুলে বিভিন্ন মহলে দেখিয়ে সঠিক তথ্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করি। শহর বর্ধমানে অন্যতম প্রধান একটি নার্সারি শান্তি ট্রেডিং এ্যান্ড নার্সারি। যার কর্ণধার নিশিকান্ত মান্না। প্রায় ৩০ বছর তিনি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ফুল, ফল সহ নানান প্রজাতির গাছ নিয়ে কাজ করছেন। গাছ গাছালি সম্পর্কে যার হাতে কলমে অভিজ্ঞতা আছে।
তিনি এই আম গাছের ছবি দেখে এবং আমের ছবি দেখে নিশ্চিত করেন যে এই আমটি অবশ্যই একটি দুর্লভ প্রজাতির মিয়াজাকি আম। নিশিকান্ত বাবুর বাড়িতে একটি মিয়াজাকি আম গাছে এবছরই দুটি আম ফলেছে। তিনি এই আম সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর কথায় মাটি এবং আবহাওয়া অনুযায়ী আমের আকার, রঙের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। এছাড়া জামালপুরের সেখ আলাউদ্দিন নামে একজন চাষি, যিনি উদ্যান পালন বিষয়ে পারদর্শী। এবং বিভিন্ন গাছের সম্পর্কেও তাঁর সম্যক ধারণা আছে। তিনি এবছর নিজের বাগানে আপেলও ফলিয়েছেন। তাঁর বাগানের গাছে এখনও আপেল রয়েছে। আলাউদ্দিন বাবুও কনফার্ম করেছেন মেহেমুদ খানের বাড়িতে ওটায় মিয়াজাকি আম।
মেহেমুদ বাবু আমাদের জানান তিনি নিজে প্রথমে বুঝতে পারেননি যে তাঁর বাড়িতেই একটি অতি দুর্লভ এবং দুর্মূল্য আমের গাছ রয়েছে। তাঁকে যখন আমরা নিশ্চিত করলাম যে এই আমটি মিয়াজাকি আম। তিনি অত্যন্ত খুশি হন, তার অনুভূতির কথা আমাদের ব্যক্ত করেন তা যথেষ্ট ভালো লাগছে যে এই একটি দুর্লভ এবং দুর্মূল্য আমের গাছ তার বাড়িতে আছে। গত তিন বছর ধরেই তাঁর এই আমগাছে তিনি অনেককে আম খেতেও দিয়েছেন। তিনি একদিকে যেমন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপরদিকে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তিনি আমাদের বলেন যে যেহেতু এই আমটি একটি অত্যন্ত দুর্মূল্য তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবেন এলাকার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে, যাতে মানুষ এই আমের গাছ বাড়িতে চাষ করেন।