Poushali Utsav
তারকা সমন্বয়ে জমজমাট হবে পৌষালী উৎসব
Bengal Times News, 19 January 2023
বেঙ্গল টাইমস নিউজ : বৃহত্তর বাজেপ্রতাপপুর এলাকার সংস্কৃতি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির ধারা অটুট রাখতে শুরু হয়েছিল পৌষালী বাজেপ্রতাপপুর মিলন উৎসব। এবছর পৌষালী উৎসব পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করছে। "পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে ছুটে আয় আয় আয়..." রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বিখ্যাত গানের উদ্ধৃতি হলো পৌষালী উৎসবের ট্যাগ লাইন। পৌষের ডাকেই সাড়া দিয়ে পৌষালী উৎসবের আয়োজন। বাজেপ্রতাপপুর বিধান সংঘ ময়দানে আয়োজিত হবে পৌষালী উৎসব। উৎসবের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ১৮ জানুয়ারি বিধান সংঘ ময়দানে উৎসব মঞ্চে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে উৎসব কমিটি। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উৎসব কমিটির সভাপতি নুরুল আলম সহ উৎসব কমিটির কর্মকর্তা মহঃ আলি, জয়ন্ত মন্ডল, পলাশ বাবু এবং অন্যান্যরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে নুরুল আলম জানান, ২১ জানুয়ারি পৌষালী উৎসবের সূচনা হবে। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বর্ধমান বাজেপ্রতাপপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী অজ্ঞেয়ানন্দজী মহারাজ, বিশিষ্ট অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, অভিনেত্রী ইশা সাহা। এছাড়াও উৎসবের উদ্বোধনী পর্ব ছাড়াও বিভিন্ন দিনে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, ইন্দ্রনীল সেন, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ অন্যান্য বিধায়ক প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তি এবং বিশিষ্টজন।
উৎসবের বিভিন্ন দিনে থাকবে অতিথি শিল্পীদের চমক। উৎসবে আগত মানুষজনকে আনন্দ দিতে আসছেন মুম্বাই খ্যাত ঊষা কৌশিক, টলিউডের মধুমিতা সরকার, অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা, সৌরভ ও অলিভিয়া, রাজদ্বীপ সিং, নয়নিকা ও অর্পিতা। এছাড়াও স্থানীয় শিল্পীরা আবৃত্তি, গান ও নানা ধরনের নৃত্যের বাহারী অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করবেন।
বুধবার উৎসবের বার্তা দিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এলাকা পরিক্রমা করে। ব্যান্ড, ঢাকের বাদ্য, ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের নৃত্যে শোভাযাত্রায় এলাকার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ স্থানীয় মানুষজন পা মেলান।
উৎসব কমিটির সভাপতি নুরুল আলম আরও জানান, পৌষালী উৎসব মানুষকে আনন্দ দেবার পাশাপাশি সামাজিক নানান কাজকর্মও করে থাকি। করোনা কালের আগে আমরা স্থানীয় মানুষের জন্য স্বল্প ব্যয়ে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও স্বর্গরথ চালু করেছি। এবছর উৎসবের উদ্বোধনের দিনে স্থানীয় ৪৫ টি ক্লাবকে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করা হবে, চলশক্তিহীন ১০ জন কে হুইল চেয়ার প্রদানের সঙ্গে আরও ১০ জন দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীকে পড়াশোনায় সহযোগিতা করতে দত্তক নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, শহরের এক প্রান্তে রেললাইন পেরিয়ে বাজেপ্রতাপপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। সারাদিনের পরিশ্রমের পর কোথাও বেড়ানো বা আনন্দ অনুষ্ঠানে যাওয়া ওদের কাছে বিলাসিতার সমান। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অন্ততঃ বছরের ৭টি দিন এলাকার মানুষের কাছে এক রাশ খুশির হাওয়া বয়ে আনে। বাজেপ্রতাপপুর এলাকার মানুষের কাছে পৌষালী উৎসব প্রাণের উৎসব।