Allergy & Asthma treatment
অ্যালার্জি এবং অ্যাজমায় কষ্ট পাবার দিন শেষ, বর্ধমানে আসছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা
Bengal Times News, 6 July 2025
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা নিয়ে হয়রানির দিন শেষ। আর চেন্নাই বা কলকাতায় ছুটতে হবে না। শহর বর্ধমানে স্টার সিনেমার কাছে জি টি রোডের ধারে বর্ধমান হেল্থ কেয়ার ভবনে নবরূপে চালু হলো অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা ট্রিটমেন্ট সেন্টার। ৬ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে বর্ধমান সেন্টারের উদ্বোধন করেন অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সন্দীপ কুমার গোস্বামী।
এদিনের উদ্বোধনে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌভিক সিদ্ধান্ত, সংস্থার অপারেশন ম্যানেজার লীনা গোস্বামী, রাজ্যের ট্রিটমেন্ট সেন্টারগুলোর কোর্ডিনেটর শম্ভুনাথ সমাদ্দার, বর্ধমান সেন্টারের ইনচার্জ তপন চৌধুরী।
অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সন্দীপ কুমার গোস্বামী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কলকাতায় মৌলালির প্রধান কেন্দ্র সহ তিনটি সেন্টার চলছে। ১৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছে। বর্ধমান সেন্টারে প্রতি রবিবার একজন করে চিকিৎসক আসবেন। বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা এখন বর্ধমান সেন্টারেই হবে।
সন্দীপবাবু অ্যালার্জির উপসর্গ প্রসঙ্গে বলেন, মাঝে মাঝেই চোখ দিয়ে জল পড়া। চুলকানি, গা-হাত-পা ফুলে ওঠা সঙ্গে চুলকানি। নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, বুকে সাঁই সাঁই শব্দ, চাপ ধরা ইত্যাদি অ্যালার্জির বহিঃপ্রকাশ। কাশি, হাঁপানি, সিওপিডি, শ্বাসকষ্ট ছাড়াও শ্বাসনালী, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ফুসফুস এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অ্যালার্জি হতে পারে। কিন্তু না জেনে অনেকেই দোকান থেকে বলে ওষুধ কিনে খেয়ে নেন। এটা একেবারেই করা উচিত নয়। যে সমস্যাগুলোর কথা বললাম আগে জানতে হবে কেন বারবার এমনটা হচ্ছে। আর সে জন্যই প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা।
এখন অ্যালার্জি এবং অ্যাজমার ভ্যাকসিন বেরিয়েছে। ফলে কম বয়সেই রোগ ধরা পড়লে এবং ভ্যাকসিন নিলে রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আর বাইরে ছুটতে হবে না। বর্ধমান সেন্টার থেকেই সব হয়ে যাবে। বর্ধমান ব্রাঞ্চের বর্ষপূর্তিতে সব সুযোগ এখন সকলের দোরগোড়ায়।
এই উপলক্ষে এদিন বিনামূল্যে একটি স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হয়। ডাঃ সৌভিক সিদ্ধান্ত অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা রোগীদের চিকিৎসা করেন।
বর্ধমান সেন্টারের ইনচার্জ তপন চৌধুরী বলেন, বর্ধমান হেল্থ কেয়ারে গত ১২ বছর ধরে অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা ট্রিটমেন্ট সেন্টার চলছে। মাঝে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর এখন নবকলেবরে চালু হলো। অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান এখন বর্ধমান সেন্টার থেকেই হবে। প্রতি রবিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন। রোগী দেখাতে নির্দিষ্ট দিনের আগেই নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।