National Lok Adalat
হাওড়া - শ্রীরামপুরে জাতীয় লোক আদালতে মিটলো অসংখ্য মামলা
Bengal Times News, 14 September 2024
পারিজাত মোল্লা, হাওড়া : শনিবার সারা দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বসেছিল জাতীয় লোক আদালত।হাওড়া জেলা সদর আদালত ও শ্রীরামপুর মহকুমা আদালত তার ব্যতিক্রমী নয়।এদিন হাওড়া জেলা ও দায়রা বিচারক তথা জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান শ্রীমতী সোনিয়া মজুমদারের নেতৃত্বে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব সুপর্ণা সরকারের পরিচালনায় ২৬ টি বেঞ্চ বসেছিল।জেলার সদর আদালতে ২৩ টি এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে ৩ টি বেঞ্চ হয়।
হাওড়া জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের অফিস মাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানান, ”এদিন জাতীয় লোক আদালতে নথিভুক্ত মামলা ছিল ৪,২৫১ টি। নিস্পত্তি ঘটেছে ৩,৮৪১ টি মামলা, এইসব মামলায় অর্থের পরিমাণ ৮ কোটি ৭ লক্ষ টাকার বেশি “। হাওড়া জেলা আদালতে জাতীয় লোক আদালতের ১৯ নং বেঞ্চে বিচারক অসীম কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে দুই সদস্যর বেঞ্চ ছিল। এই বেঞ্চে সমাজকর্মী হিসাবে ‘মেম্বার জাজ’ হয়েছিলেন ‘হাইকোর্ট সংবাদদাতা’ মোল্লা জসিমউদ্দিন।
এই বেঞ্চে এক্সিস ব্যাঙ্কের পক্ষে সরজিৎ বাগ, কৌশিক ভট্টাচার্য প্রমুখ ছিলেন। এই বেঞ্চে এক্সিস ব্যাঙ্কের ঋণখেলাপীদের নিয়ে শুনানি চলে। এই বেঞ্চে বেশিরভাগ মামলার নিস্পত্তি ঘটে। হাওড়া জেলা আদালতের অন্যান্য বেঞ্চে ট্রাফিক আইন, মানি স্যুট, টাইটেল স্যুট, ব্যাঙ্ক, এনজিআর, বিদ্যুৎ, টাইটেল স্যুট, বন্ধন ব্যাঙ্ক প্রভৃতি বিষয়ক মামলার নিস্পত্তি ঘটে। হাওড়া জেলা আদালতে ‘বেঞ্চ জাজ’ হিসাবে শিক্ষক, আইনজীবী, সমাজসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন জগতের মানুষজনকে যুক্ত করা হয়েছিল। জানা গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মামলা এদিন সারাদিন ব্যাপি উভয় পক্ষের সম্মতিতে মীমাংসা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জমে থাকা মামলার পাহাড় কমাতে সারাদেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় লোক আদালত। এতে সিংহভাগ মামলার নিস্পত্তি ঘটে। শনিবার হুগলির শ্রীরামপুর আদালতে বসলো জাতীয় লোক আদালত। হুগলি জেলা ও দায়রা বিচারক (জেলার জাতীয় লোক আদালতের চেয়ারম্যান) শ্রী শান্তনু ঝার নেতৃত্বে জেলা জাতীয় লোক আদালতের সচিব (বিচারক) শ্রীমতী মানালি সামন্ত এর পরিচালনায় শ্রীরামপুরে ৯ টি বেঞ্চ বসে। এছাড়া চুঁচড়ায় ৯ টি, আরামবাগে ৬ টি এবং চন্দননগরে ৩ টি সর্বমোট হুগলি জেলায় ২৭ টি বেঞ্চ বসেছিল বলে জানান হুগলি জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এর অফিস মাস্টার সাহানা খাতুন।