Heritage Temple
হেরিটেজ মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার পুরোহিত, আলোড়ন
সৈয়দ আবু জাফর, নবদ্বীপ : রক্ষক'ই ভক্ষক। হেরিটেজ মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বয়ং পুরোহিত। একেই বলে রক্ষক'ই ভক্ষক! নবদ্বীপের একটি অন্যতম প্রাচীন ও হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত মন্দিরে চুরির ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পুরোহিতকে। সম্প্রতি ফাঁসিতলা স্টিমার ঘাট রোডে হেরিটেজ স্বীকৃত মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড এক পুরোহিতকে মায়াপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃত পুরোহিতের নাম নিতাই চন্দ্র দাস। তার বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটা থানার মহাদেবপুর গ্রামে। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মন্দির নগরী মায়াপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে নবদ্বীপ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশে পেশ করে পুলিশ। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে ৩ দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানানো হলে, আবেদন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মারফত জানতে পারা যায়, গত ৪ জানুয়ারি সকালে নবদ্বীপ পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসিতলা স্টিমার ঘাট রোডে হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত শ্রীশ্রী সিদ্ধ পুরুষ রামহরি দাস বাবাজী রাম হরি আশ্রমের রাধা গোবিন্দের বিগ্রহ সহ অন্যান্য বিগ্রহের সোনার গহনা সহ বিভিন্ন গহনা গায়েব হয়ে যায়। পাশাপাশি বিগ্রহের গহনার মতো গায়েব হয়ে যায় ওই মন্দিরের পুরোহিতও। ওই দিন সকালেই বিষয়টি নজরে আসতেই মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত তথা স্থানীয় কাউন্সিলর গোষ্ঠ ভট্টাচার্য নবদ্বীপ থানায় পুরোহিত নিতাই চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। দীর্ঘ একমাস পর বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মন্দিরনগরী মায়াপুরের একটি গোপন ডেরা থেকে অভিযুক্ত পুরোহিত নিতাই চন্দ্র দাস কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত তথা স্থানীয় কাউন্সিলর গোষ্ঠ ভট্টাচার্য জানান, গত ৪ জানুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মূল মন্দিরের দরজা খোলা। মন্দিরে থাকা রাধা গোবিন্দের বিগ্রহ সহ অন্যান্য বিগ্রহের সোনা ও রুপোর গহনা গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুরোহিতের খোঁজ করতে গিয়ে দেখি তিনিও গায়েব। ঐদিন দুপুরেই পুরোহিত নিতাই চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি থানায়। গোষ্ঠ ভট্টাচার্যের দাবি চুরির মাস্টারমাইন্ড ওই পুরোহিত নিতাই চন্দ্র দাস। আজ থেকে বছর দুয়েক আগে পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল শহরের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে। তিনি আরও জানান, চুরি যাওয়া সোনা ও রুপোর গহনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা।