Effluent treatment plant
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম অত্যাধুনিক ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসলো পূর্ব বর্ধমানে
Bengal Times News, 21 February 2024
জগন্নাথ ভৌমিক, খন্ডঘোষ : রাইসমিল শিল্পে নব দিগন্তের সূচনা হলো। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম অত্যাধুনিক ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) বসলো পূর্ব বর্ধমান জেলায়। রাজ্যের শস্যগুলো বর্ধমান, আর সেই শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের কুকুড়া গ্রামে নীলাচল ফুড প্রোডাক্টস নিয়ে এলো অত্যাধুনিক এবং ব্যয়বহুল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাপনা।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে নীলাচল ফুড প্রোডাক্টস -এ ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী মহঃ গোলাম রব্বানী। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব আইপিএস ড. রাজেশ কুমার, দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত ঘোষ, খড়গপুর আইআইটি'র সায়েন্টিস্ট ডঃ শীর্ষেন্দু দে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিধান চন্দ্র রায়, পুলিশ সুপার আমনদীপ, খন্ডঘোষের বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী মহঃ গোলাম রব্বানী সহ অন্যান্য অতিথিদের উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে অভ্যর্থণা জানান বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা নীলাচল ফুড প্রোডাক্টস এর উপদেষ্টা আব্দুল মালেক, তিন কর্ণধার সুজয় কোনার, সঞ্জয় কোনার এবং আব্দুল আজিজুল আমান।
শুরুতেই স্বাগত ভাষণে আব্দুল মালেক বলেন, অত্যাধুনিক এই ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। সাধারণ মিলারদের পক্ষে এই প্রযুক্তির ব্যবহার সাধ্যের বাইরে। তিনি মন্ত্রী মহঃ গোলাম রব্বানী এবং খড়গপুর আইআইটি'র অধ্যাপক শীর্ষেন্দু দে'র কাছে আবেদন রাখেন ব্যয়ভার যদি কিছুটা কমানো সম্ভব হয়।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব ড. রাজেশ কুমার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাইস মিল স্থাপন করলে বায়ু দূষণ, জল দূষণ সহ অনেক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সেই সব সমস্যা কি করে সমাধান করা যায় সেটাও দেখতে হবে। রাইস মিলের ছাই থেকে যে বায়ু দূষণ হয় ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর মাধ্যমে সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একই ভাবে জল দূষণও থাকবে না। পরিবেশ বান্ধব ভাবে রাইস মিল চলবে। থাকবে না স্থানীয় মানুষের কোনও অভিযোগ। তিনি নীলাচল ফুড প্রোডাক্টস এর তরুণ কর্ণধারদের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যদের পথ দেখানোর জন্য অভিনন্দন জানান।
রাজ্যের পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী মহঃ গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই নীলাচল ফুড প্রোডাক্টস এর কর্ণধারদের ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি অন্যান্য রাইস মিলারদের কাছেও অনুরোধ রাখেন ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানোর জন্য। যদিও এই প্রযুক্তি ব্যয়বহুল। তিনিও প্রফেসর দে'র কাছে অনুরোধ রাখেন খরচ কমানোর বিষয়ে কোনও কিছু উদ্ভাবন করা যায় কিনা। পাশাপাশি রাইস মিলারদের উদ্দেশ্য বলেন ক্লাস্টার পদ্ধতিতে যদি কিছু করা যায়। মন্ত্রী বর্ধমানের রাইস মিলারদের বলেন আপনারা এই প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে পথ দেখালে অন্যান্য জেলার মিলাররাও এগিয়ে আসবে। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, রাইস মিল সেক্টরে নীলাচল ফুড প্রোডাক্টস পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসালো। এদিনের অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ বীরভূম, হুগলি জেলার রাইস মিলারদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এই প্লান্ট দেখার পাশাপাশি বিস্তারিত ভাবে জেনে নেন।