শ্রীরামপুর বটতলা হকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও বর্ধমান সহযোদ্ধার যৌথ উদ্যোগে শহরের দুটি পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে বস্ত্রদান
Bengal Times News, 7 January 2024
বেঙ্গল টাইমস নিউজ : হুগলি জেলার শ্রীরামপুর বটতলা হকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং বর্ধমান সহযোদ্ধার যৌথ উদ্যোগে বর্ধমান শহরের দুটি পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নতুন পুরনো মিলিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০ জনকে বস্ত্রদান করা হল। রবিবার বটতলা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সংস্থার সম্পাদক জয়দেব দাস এবং আরো অনেকে শ্রীরামপুর থেকে দুটি গাড়িতে এই সমস্ত বস্ত্র বর্ধমান নিয়ে আসেন। বর্ধমান সহযোদ্ধার তরফ থেকে সংস্থার সহ সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক এবং সম্পাদক প্রীতিলতা ব্যানার্জী দুটি অঞ্চলে - গোদা তালপুকুর এবং ঝিঙ্গুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা - তাদের নিয়ে যান এবং সেই দুটি জায়গায় আদিবাসীদের মধ্যে সেইসব বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ২০২০ সাল থেকে বর্ধমানের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ UIT র প্রিন্সিপাল প্রফেসর অভিজিৎ মিত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বস্ত্রদান বর্ধমানের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি বছর এক বা দুবার করে হয়ে আসছে।
রবিবার প্রফেসর মিত্র জানান, যে অন্যান্য বারের মত এবারেও বছরের শুরুতেই এই বস্ত্র দান অনুষ্ঠান হবার জন্য তিনি খুব খুশি হয়েছেন। এর জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য বটতলা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের। কারন তারা প্রতি বছর নিজেরা এত দূর থেকে বস্ত্র বয়ে এনে দিয়ে যান। এবং এবার তালতলা ও ঝিঙ্গুটি অঞ্চল বেছে দিয়েছেন বর্ধমান সহযোদ্ধা, তাই তাদের কাছেও উনি কৃতজ্ঞ। এইরকম ভাবে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মুখে প্রতিবার হাসি ফুটিয়ে তুলে উনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন। জয়দেব দাস বলেন যে প্রফেসর মিত্র যেহেতু আদপে শ্রীরামপুর অঞ্চলের মানুষ এবং তাদের বহু বছরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তাই তার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতি বছর এভাবে বর্ধমান এসে তাদের খুব আনন্দ হয়।
এবারেও এই দুই গ্রামে এসে তাদের ভাল লেগেছে এবং তারা চেষ্টা করবেন এ বছর আরো একবার এইরকম বস্ত্র সম্ভার নিয়ে পুজোর আগেই আসতে। সহযোদ্ধার তরফ থেকে ফাল্গুনী দাস রজক বলেন যে উনি এইরকম অনুষ্ঠানের জন্য ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এবং প্রফেসর মিত্র, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। এভাবেই সবাই এগিয়ে এলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের শেষভাগে ঝিঙ্গুটি এলাকায় বস্ত্রদানের সময় বর্ধমান মহিলা থানার আইসি বনানী রায় এসে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ও এলাকার মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শেষে কিছু বস্ত্র প্রফেসর মিত্র নিজের দায়িত্বে রেখে দেন যা খুব শিগগির নীলপুরের এক অনাথ আশ্রমের ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।