Struggle for
জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে মেছেদার ভূমিকন্যা সীমা বেরা দিদি No. 1
Bengal Times News, 24 September 2023
লুতুব আলি, পূর্ব মেদিনীপুর : জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ের স্বীকৃতি পেলেন মেছেদার ভূমি কন্যা সীমা বেরা। ZEE বাংলা আয়োজিত দিদি No. 1 প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের সীমা। জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে তিনি অপারাজেয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা বিশিষ্ট অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমা বেরা'র প্রসঙ্গে উচ্চ প্রশংসা করেন। এই অনুষ্ঠানটি যদিও এখনো সম্প্রচার হয়নি। ২২ সেপ্টেম্বর দিদি নং 1 এর অনুষ্ঠানটি ইন্ডোর শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
সীমা বেরা জীবন সংগ্রামের কঠিন লড়াইয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে একা নিজেই লালন পালন করছেন ও শিক্ষা দিচ্ছেন। স্বামী হারা সীমাদেবী মেচেদার কাছে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এলাকায় একটি আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা। অল্প বেতনে কোনরকম ভাবে চলে। মেয়েকে একাডেমিক শিক্ষা দিতে ও মানুষ করতে তাকে টিউশনিও করতে হয়। দিদি নং 1 অনুষ্ঠানে সীমা বেরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিজের সহজাত প্রবৃত্তি দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর তিনি অনায়াসেই দিয়েছেন। এই প্রতিযোগিতার অন্যান্য সকল প্রতিযোগিনীদের টপকে শেষে তিনি চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেন। অর্থাৎ দিদি No. 1 হয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি খুব শীঘ্রই জি বাংলায় সম্প্রসারিত হবে। দর্শক শ্রোতারা তার জীবন সংগ্রামের কাহিনী সবিস্তারে পাবেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ক্যুইজ ও শিক্ষা মূলক অনুষ্ঠানে যোগদান করে আসছেন। এই অনুষ্ঠানগুলিতে যোগদান করার সুবাদে তিনি অনেক কঠিন কঠিন প্রশ্নের খুব স্বাচ্ছন্দ্যভাবে উত্তর দিতে পারেন। অবক্ষয়ী সমাজ ব্যবস্থা সীমাদেবীকে দারুণভাবে নাড়া দেয়। এই অনুষ্ঠানে একাই একশো এপিসোডে সীমা বেরা কে অন্যভাবে দেখা যাবে। তিনি বাস্তবিক জীবন সংগ্রামে নিজে একাই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বড় করে তুলছেন। এ এক কঠিন লড়াই। এই লড়াইয়ে হাঁটতে হাঁটতে তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। সীমাদেবীর এই লড়াইকে অনুষ্ঠানে সকলে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এই প্রতিবেদককে এক সাক্ষাৎকারে সীমা বেরা বলেন, জীবন যুদ্ধে আমি যে কঠিন লড়াইয়ে সামিল হয়েছি তাকে কুর্নিশ জানিয়েছে জি বাংলা। জি বাংলার দিদি নং 1 আর সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষদের অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমাকে তারা যে সম্মান দিলেন এই সম্মানকে আমি পাথেয় করে চলবো। আমার জীবন সংগ্রামের চলার পথ এই প্রেরণা পেয়ে আরও মসৃণ হবে বলে আমি মনে করি।