Children's Treatment
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সমমানের শিশু চিকিৎসা এখন শহর বর্ধমানে
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : আধুনিক বিজ্ঞানে বিশ্বের উন্নত দেশ গুলিতে যে মানের শিশু চিকিৎসা হচ্ছে সেই মানের চিকিৎসা পরিষেবা এখন শহর বর্ধমানেই পাওয়া যাচ্ছে। কোনও গল্প কথা নয়। বর্ধমানের শিশু হাসপাতাল 'কিশলয়' দিচ্ছে এমনই পরিষেবা। ১৫ আগস্ট কিশলয় চিলড্রেন্স হসপিটালের পাঁচ বছর পূর্তিতে এমনটাই জানালেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ আসরাফুল মির্জা। ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন ডাঃ মির্জা।
এদিন বর্ধমানে কিশলয় চিলড্রেন্স হসপিটালে মেটারনিটি বিভাগও উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আসরাফুল মির্জা, ডাঃ শ্যামসুন্দর গুঁই, ডাঃ নাসিমা খন্দেকার, ডাঃ অভীক ঘোষ, ডাঃ শঙ্কর প্রসাদ নাগ ও ডাঃ সুদীপ্তা দাস।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডাঃ মির্জা জানান, বিগত ৫ বছর ধরে ২৪ ঘণ্টা ৩৬৫ দিন কিশলয়ের পেডিয়াট্রিক টিম নিরন্তন চেষ্টার মাধ্যমে অসাধ্য সাধন করে চলেছে। তিনি কয়েকটি উদাহরণ উপস্থাপিত করে বলেন, ২৬ সপ্তাহ, ৬৫০ গ্রাম ওজনের সদ্যোজাত শিশুও প্রাণ ফিরে পেয়েছে কিশলয়ে। এর হাত ধরে ১২০০ গ্রাম ওজনের শিশুর অস্ত্রপ্রচার হয়েছে সফল ভাবে। কিশলয় শিশু হাসপাতালে এবার শুরু করলো কিশলয় মেটারনিটি কেয়ার ইউনিটের। এই নতুন বিভাগ কিশলয়ের প্রথা মেনে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন মেটারনিটি পরিষেবা দিতে থাকবে।
কিশলয়ের কর্ণধার ডাঃ আশরাফুল মির্জা আরও বলেন, বাইরে থেকে জন্ম নেওয়া আগত সদ্যোজাত শিশুরা কখনও কখনও অতি খারাপ অবস্থায় এসে পৌঁছায়। কিশলয়ের NICU তে তাতে চিকিৎসার ব্যয়ভার যেমন বাড়ে তেমনি বাড়ে চিকিৎসার অনিশ্চিয়তা। এবার থেকে সেই সমস্যা এড়ানোর জন্য কিশলয়ের মেটারনিটি টিম একজন মায়ের মাতৃত্বের সূচনা লগ্ন থেকে তাদের নিপূণ দক্ষতা এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যে পৌঁছে দেবে সফল মাতৃত্বের দিকে। যদি কোনো সদ্যোজাত শিশুর সমস্যা তৈরী হয় ডেলিভারি রুম থেকে শুরু হবে তার চিকিৎসা। এরফলে চিকিৎসার খরচও যেমন কমবে তেমনি সুনিশ্চিত ভাবে শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা আরো সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন artificial intelligence (AI) এর সাহায্যে সেইসব মায়েদের আগে থেকে চিহ্ণিত করা হবে। যাদের মাতৃত্বকালীন কমপ্লিকেশন হচ্ছে এবং যথা সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিকার করা হবে এর মাধ্যমে। কোনো মা যদি শুরু থেকে কিশলয় মেটারনিটি কেয়ারে থাকেন এবং চিকিৎসকের যথাযত পরামর্শ মেনে চলেন তাহলে তার আপৎকালীন সময়ের সমস্ত দায়দায়িত্ব কিশলয় হাসপাতালের অর্থাৎ হঠাৎ করে এবং জরুরি পরিষেবার মাধ্যমে তার সমস্যার সমাধানের দায়িত্বও কিশলয় চিলড্রেন্স হসপিটালের।
এর জন্য কিশলয় টিমের অভিজ্ঞ গাইনোকলজিস্ট চিকিৎসকরা সদা প্রস্তুত থাকবেন। এরপর থেকে কোনও মা এবং তার বাড়ির পরিজনদের দুশ্চিন্তা করার কোনো অবকাশ থাকবে না। এই অঙ্গীকার নিয়ে শুরু হল কিশলয়ের মেটারনিটি কেয়ার ইউনিটের পথ চলা।