CNG Bus Service
সিএনজি ফিলিং স্টেশন উদ্বোধনের সঙ্গে ১২ টি রুটে বাস পরিষেবা চালু করলো এসবিএসটিসি
Bengal Times News, 30 May 2024
জগন্নাথ ভৌমিক : নিজস্ব সিএনজি “ফিলিং স্টেশন” তৈরি করে বাস চালানোর সূচনা করলো দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বা সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (SBSTC)। আপাততঃ দূর্গাপুর ও আরামবাগে সিএনজি'র দুটি ফিলিং স্টেশন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি ডিপো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দূর্গাপুর ডিপো এবং হুগলির আরামবাগ ডিপো থেকে নতুন সিএনজি বাস চালানোর উদ্বোধন হলো।
২৭ মে একযোগে আসানসোল, দূর্গাপুর ও আরামবাগ ডিপো থেকে নতুন ১২ টি সিএনজি বাস চলাচলের শুভ সূচনা হলো। আসানসোলে এই তিনটি বাসের উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ সহ অন্যান্যরা। আসানসোল থেকে নতুন তিনটি রুটে তিনটি নতুন বাস চালানো হবে। সেগুলো হলো আসানসোল – নবদ্বীপ, আসানসোল – পুরুলিয়া ও আসানসোল – কালনা। দূর্গাপুর থেকে ৪ টি এবং আরামবাগ থেকে ৫ টি করে বাস চলাচলের সূচনা হলো।
দুর্গাপুরের অনুষ্ঠানে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ছাড়াও ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। আরামবাগের অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী দিলীপ মন্ডল ছাড়াও ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল। দূর্গাপুর ও আরামবাগে পুরনো রুটেই এই সিএনজি বাস চালানো হবে বলে জানা গেছে। ২৭ মে একইসঙ্গে দুর্গাপুর ও আরামবাগে এসবিএসটিসির নিজস্ব সিএনজির ফিলিং স্টেশনেরও উদ্বোধন হয়।
দুর্গাপুর ডিপোকে গ্রিন ডিপো'র তকমা দেওয়া হয়েছে। তারজন্য যা ক্যাটাগরি আছে সেটা করা হয়েছে। আসানসোলেও ফিলিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত তা শুরু করা হবে। পরবর্তী কালে এই ফিলিং স্টেশন করা হবে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও কৃষ্ণনগরে।
এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল বলেন, টাটা কোম্পানির কাছ থেকে আপাততঃ ১৪টি সিএনজি বাস কেনা হয়েছে। তারমধ্যে ১২ টি বাস তিনটি জায়গা থেকে চালু করা হলো। চলতি বছরে মোট ১২৫টি সিএনজি বাস কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে এসবিএসটিসি'র বিভিন্ন রুটে ৭০০ টি বাস চলাচল করে।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত দুবছরে সংস্থার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ কমাতে পেরেছি। পাশাপাশি, আগে প্রতি কিলোমিটারে ২২/২৩ টাকা আয় হতো। এখন বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পন্থা অবলম্বন করে সেই আয় বাড়িয়ে ২৮/২৯ টাকা করা গেছে। তিনি বলেন, সংস্থার বাস চালানোর জন্য নতুন নতুন রুট খোঁজা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর গ্রামীণ এলাকায় নতুন রুটের খোঁজে সমীক্ষা করা হচ্ছে। আগে জঙ্গলমঙ্গল এলাকায় কোন বাস খারাপ হলে বা সারাই করতে হলে দুর্গাপুরে আনতে হতো। কিন্তু ঝাড়গ্রামে সংস্থার নিজস্ব ওয়ার্কসপ তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেখানে বাসের রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরফলে সময়ও বাঁচছে, খরচও কমছে।