Mysterious death of all the family
একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় শিল্প শহরে ব্যাপক আলোড়ন
Jagannath Bhoumick
Bengal Times News, 19 March 2023
জগন্নাথ ভৌমিক, দুর্গাপুর : একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন ছড়ালো শিল্প শহর দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুরিয়া ডাঙ্গার মিলন পল্লীর ঘটনা। ওই এলাকার একটি বাড়ির ভিতর থেকে বাড়ির মালিক অমিত মন্ডলের ঝুলন্ত মৃতদেহ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান। ওই ঘরেরই বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায় অমিতের স্ত্রী রূপা মন্ডল এবং তার পাশেই পড়েছিল ১০ বছরের সন্তান নির্মিত ও দুই বছরের নিকিতার মৃতদেহ । রবিবার সকাল ছটা নাগাদ ওই মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী অমিতের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
খবর পেয়েই দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করলে আত্মীয়রা ও এলাকাবাসী পুলিশকে বাধা দেয়। তাদের অভিযোগ, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে অমিতের মামাতো ভাই। তাদের দাবি, অমিতের ফোনে প্রায়ই হুমকি দিয়ে সেই মেসেজ পাঠাত। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে বলে দাবি জানায় তাঁরা। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর সন্দেহ, জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। রহস্য দানা বাঁধছে মৃত যুবকের শ্যালিকার দাবীতে। একের পর এক রহস্যের জাল ক্রমশ জটিল করে তুলছে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর ঘটনাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে বাসিন্দারা। ময়নাতদন্তের পরেই খুলবে মৃত্যুর কারন। কিন্তু যুবকের হাত পিছন থেকে বাঁধা কেন ? সচেয়ে বড় প্রশ্ন খুন নাকি আত্মহত্যা ? নাকি আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে কারোর চাপ ?
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডি সি পি (পূর্ব ) কুমার গৌতম। প্রাথমিক তদন্তের পর শুরু হয়েছে ফরেনসিক তদন্ত। ডি সি পি কুমার গৌতম জানান, মৃত অমিত মন্ডলের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট পাওয়া যায়, যার থেকে প্রাথমিক অনুযান এটি আত্মহত্যা। তবে তদন্তের খাতিরে অমিত মন্ডলের মা ও মামার ছেলেকে আমরা আটক করেছি। তিনি বলেন, ফরেনসিক দল এসেছে সমস্ত সূত্র তারা নিয়ে যাচ্ছেন। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কুমার গৌতম আরও বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত করলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা না খুন।