দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচির প্রচারে তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলন
বেঙ্গল টাইমস নিউজ : দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি ঘোষণা করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এই উপলক্ষে আজ দলের অস্থায়ী জেলা কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়িকা শম্পা ধাড়া, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক খোকন দাস, সেখ শাহনওয়াজ, নেপাল ঘড়ুই, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, আইএনটিটিইউসি'র পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি সৈয়দ মহঃ সেলিম, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অশোক বিশ্বাস, কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, মহঃ ইসমাইল, জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহঃ আসরাফউদ্দিন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'দিদির সুরক্ষা কবচ' পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক রূপায়িত ৬টি ক্ষেত্রে বিভক্ত, মোট ১৫টি সর্বাঙ্গীণ ও বহুমুখী প্রকল্পের এক সমাহার। রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমগ্র জীবনকাল জুড়ে সাধারণ ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করবে বয়স, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্ম এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্র নির্বিশেষে রাজ্যব্যাপী সমস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দেবে। স্বাস্থ্যসেবা থেকে আবাসন, শিক্ষা থেকে আয়, খাদ্য থেকে সামাজিক নিরাপত্তা, সমস্ত ক্ষেত্রকেই কভার করবে।
তিনি আরো বলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
২ জানুয়ারি কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি বর্ণাঢ্য সুরক্ষা কবচের উদ্বোধন করেছেন। তিনি দলীয় কর্মীদের ('দিদির দূত') আহ্বান জানান, বাংলার প্রতিটি ঘরে সুরক্ষা কবচের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
এই কর্মসূচি আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। রাজ্যস্তরের দলীয় নেতৃবর্গ প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও নগরাঞ্চলে একটি করে দিন কাটাবেন এবং ৪৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মকাণ্ড। অঞ্চলে এক দিন / নগরে এক দিন কর্মসূচির প্রতিদিন ওই নেতারা গ্রাম পঞ্চায়েত ও নগরাঞ্চলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করবেন। সরকারি দপ্তর পরিদর্শন করবেন। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করবেন। পঞ্চায়েত/নগরের দপ্তর পরিদর্শন করবেন। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে 'জনসংযোগ সভা' আয়োজন করবেন - প্রচার কর্মসূচির পরবর্তী পর্যায়, দুয়ারে দিদির দূতের জন্য দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে আয়োজন করা হবে দলীয় কর্মীসভা। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দলীয় কর্মীদের বাড়িতে নৈশভোজ ও রাত্রিযাপন করবেন। দিদির দূতরা ঘরে-ঘরে প্রচার করবেন। প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের অবগত করা হবে সুরক্ষা কবচ সম্পর্কে এবং তাঁদের তথ্য দিদির দূত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে নথিভুক্ত করবে, যাতে জানা যায় যে, কোন প্রকল্পগুলির পরিষেবা তাঁদের পাওয়ার কথা। তাঁরা পেয়েছেন কিনা ? এইভাবে, জনপ্রতিক্রিয়া সংগ্রহের একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে, যার মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা যাবে সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি এবং প্রত্যেক জেলাবাসীর কাছে এই প্রকল্পগুলির পরিষেবা পৌঁছে সুষ্ঠু ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
এই কর্মসূচি চলাকালীন ঘরে-ঘরে দিদির দূতেরা প্রচার কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি ও দিদির সুরক্ষা কবচ দেওয়াল ক্যালেন্ডার বিতরণ করবেন। এছাড়া দিদির সুরক্ষা কবচ ডোর স্টিকার ও দেওয়া হবে।