শিক্ষা, যোগ্যতা ও চাকরি : সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কিছু সংশয়, কিছু প্রশ্ন
Abhijit Mitra
Bengal Times News, 9 April 2025
অভিজিৎ মিত্র : মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে এপ্রিল ৩ তারিখের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়া এবং এপ্রিল ৭ তারিখে চাকরিহারাদের সাথে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ওনার আশ্বাস যে যোগ্যদের চাকরি থাকবে, এই দুই ঘটনাকে মাথায় রেখে এক বৃহত্তর আঙ্গিক থেকে এই প্রবন্ধ। যেখানে আমরা শিক্ষা, যোগ্যতা ও চাকরি, এই তিন প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব। তবে শুরুতেই বলব, কাউকে আঘাত করার জন্য এই লেখা নয়, বরং শিক্ষার সামাজিক দিকনির্দেশ কি হওয়া উচিত সেই বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার উদ্দেশ্যেই এই লেখা। এবং রাজনীতি বা দুর্নীতি, এইসব বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এই প্রবন্ধে আমি বিন্দুমাত্র কোনো মন্তব্য করব না। কারন রবি ঠাকুরের মত আমিও বাইরের নালিশের থেকে ভিতরের নালিশ নিয়ে বেশি ভাবিত।
পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে পেশাদার হিসেবে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি ২৫ বছরের বেশি সময়। দেখেছি, প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি চলে যাওয়া এবং নতুন উদ্যমে আবার চাকরি খুঁজে নেওয়া অনেকটা পরিচিত দৃশ্য। যেমন, একটি বাঙালি ছেলেকে চিনি যে টিসিএস এর একটি ইউরোপীয় দেশে অনেক বছর বিজনেস হেড হিসেবে চাকরি করার পর ভাল লাগল না বলে ছেড়ে অন্য একটি কোম্পানীতে জয়েন করল, সেখানে দুবছর কাজ করে পোষাল না বলে দেশে ফিরে এল। কিছুদিন ঘুরে ফিরে আনন্দ করে এখন সে মুম্বাইতে টাটার আরেকটি কোম্পানীতে সফটওয়ার হেড হিসেবে কর্মরত। কেউ যদি ২০২৪-২৫ এর প্রায় ১৫ মাসে ভারতে প্রফেশনাল জগতে মোটামুটি কত বেসরকারি চাকরি চলে গেছে, সেই হিসেব নেন, দেখবেন সংখ্যাটা আড়াই লাখের কম নয়। সেই তুলনায় ৩রা এপ্রিলের এই অর্ডারে ২৬ হাজার চাকরি যাওয়া তো দশ ভাগের মাত্র একভাগ। তাহলে এবার এত হৈ চৈ কেন? এত চোখের জল, ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়া, জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া, আত্মহত্যার হুমকি, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে আসরে নেমে চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করতে হচ্ছে - এসব কেন? সরকারি চাকরিও যেমন চাকরি, বেসরকারি চাকরিও তো চাকরি। কই, ওই আড়াই লাখ ছেলে মেয়ের ২০২৪-২৫ এ যখন চাকরি গেছে, তখন তো কেউ বলেনি - ইনফোসিস বাইজুস ইনটেল সিসকো মাইক্রোসফট পেটিএম ওলা সুইগি - এরা সবাই ছেলেমেয়ে গুলোর সঙ্গে দুর্নীতি করছে, চাকরিতে ডেকে কয়েক মাসের মধ্যেই দরকার নেই বলে তাড়িয়ে দিচ্ছে! কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিতে হয়নি, তোমরা যারা যোগ্য তাদের চাকরি কেউ খেতে পারবে না!
আরেকটু পেছানো যাক। ২০২০-২১, কোভিড সময়কাল। কোভিডের প্রথম ধাক্কায় ভারতে কোন্ ৯ টা বেসরকারি সেক্টর সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল মনে আছে? উৎপাদন শিল্প, যাতায়াত, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক সংস্থা, কন্সট্রাকশন, আইটি এবং ক্ষুদ্র শিল্প। সেই প্রথম ঢেউ আসার সঙ্গে সঙ্গে এই ৯ টা সেক্টরে প্রায় ২৩ লাখ মহিলা ও পুরুষ চাকরি হারিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, কোভিড শেষ হওয়ার পর "দ্য হিন্দু" পত্রিকা হিসেব দিয়েছিল যে অতিমারীর সময় মোট ১২ কোটি ভারতীয় চাকরি হারিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৯ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, দিনমজুরের চাকরি করে খেত। এবং প্রায় ১৮ লাখ রেজিস্টার্ড ক্ষুদ্র শিল্পপতি শিল্প আর চালাতে পারেন নি। তারাও বেকার হয়ে গেছিলেন। দেখুন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সবাই তো আম্বানি আদানি দামানি টাটা বিড়লা গোয়েঙ্কার মত বিত্তশালী নন, তাদেরও উদয়াস্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য। তারাও বার বার মাথা ঠুকে সাহায্য চেয়েছিলেন কারন তাদের ওপর আরো বেশ কিছু পরিবার নির্ভরশীল হয়ে ছিল। কিন্তু সেই সময় সরকার কোন সাহায্য করতে পারে নি, তখন দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা। চাকরি হারা সেই কোটি কোটি মানুষ আবার কোভিড শেষে জীবিকার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
এটাও কিন্তু ভুললে চলবে না, সেই পুরো কোভিডকাল সমস্ত সরকারি কর্মীকে বসিয়ে মাইনে দেওয়া হয়েছিল, যেটার সৌভাগ্য বেশির ভাগ বেসরকারি কর্মীর ভাগ্যে জোটে নি।
আরো এক পা পেছোই। এপ্রিল ২০১৩। সারদা স্ক্যাম ধরা পড়ল। চারদিকে হৈ হৈ কান্ড। এক ধাক্কায় সরদার ১৬ হাজার কর্মীর চাকরি গেল। বাংলার অন্যান্য প্রায় ৬০ টা চিট ফান্ডও তখন তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে মরিয়া। আরো ২০ হাজার লোকের চাকরি গেল। এবং সারদা গ্রুপের সংবাদপত্র বা নিউজ চ্যানেল যেমন - সকালবেলা, দ্য বেঙ্গল পোস্ট, চ্যানেল টেন - এক ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গেল। অন্তত এক হাজার প্রতিভাবান সাংবাদিক তখন চাকরি হারিয়েছিলেন। কই, তারা তো কান্নাকাটি করেননি। এত সামাজিক হৈ চৈ হয়নি। মুখ বুজে নিজের ভবিতব্য মেনে নিয়ে অন্য কোন কাগজে চাকরি খুঁজতে শুরু করেছিলেন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বেশিরভাগ সাংবাদিক আজ প্রতিষ্ঠিত।
অর্থাৎ আমাদের সমাজ "চাকরি" বিষয়ে খুব সূক্ষ্মভাবে একটা ধারনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে - সরকারি চাকরিটাই চাকরি, অন্যগুলো ধর্তব্যের মধ্যে আনা যায় না। সেইসব চাকরি যে কোনো সময় যেতে পারে। কোভিড অতিমারী হোক বা না হোক। সেইসব চাকরিজীবীদের কোনো ফ্যমিলি সেন্টিমেন্ট হয় না, তাদের কোনও চোখের জল হয় না, তারা কোনো স্কুল কলেজের টপার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না, তাদের কাঁধে কোন রাজনীতিবিদের হাত থাকে না।
পুরো ছবিটা একবার কল্পনা করুন, ২০২৪-২৫ এ সেই আড়াই লাখের চাকরি চলে যাওয়ার পর চুপচাপ তারা কিন্তু পরের দিন থেকে আবার চাকরির খোঁজে নেমে পড়েছে, ২০২০-২১ এ কোভিডের চাকরিহারা মানুষেরা আবার জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েছে, ২০১৩ র সারদায় ক্ষতিগ্রস্থরা চোয়াল চাপা লড়াই শুরু করে আজ আবার মূলস্রোতে - যেটা জীবনের প্রকৃত বাস্তব। কেউ প্রতিষ্ঠিত, কেউ চাকরি পেয়েছে, কেউ পায়নি, কেউ হতাশায় দেশ ছেড়ে চলে গেছে, কেউ বিয়ে করে ঘরকন্না করছে। নিজের কলেজ বা ইউনিভার্সিটির টপার সার্টিফিকেটটা একবার নিরবে দেখেছে, কিন্তু কেউ এভাবে হাউহাউ করে কাঁদেনি, এমন ভাব দেখায়নি যে এই চাকরি যাওয়া মানে তাদের জীবনের অক্সিজেন শেষ হয়ে গেল, তাদের এ জীবনে আর কোনো আশা নেই।
তাহলে এই যে মরীচিকা, সরকারি চাকরির পেছনে দৌড়নো অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নিশ্চিত মাইনে এবং ৬০ এর পর বাকি জীবন নিশ্চিত পেনশন, কাজ করি আর নাই করি, বোঝা যাচ্ছে এই নিয়েই আপামর জনগণ খুশি থাকতে চায়। এটাই সাধারনের স্বর্গ। আর সেজন্যেই সুপ্রিম কোর্টের এক আঁচড়ে সরকারি চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে সমাজে এত গেল গেল রব।
কিন্তু আমরা কখনও আমেরিকা বা ইউরোপে কোন পদ্ধতিতে সরকারি চাকরি করতে হয়, সেই চাকরি কি আদৌ ৬০ বছর বয়স অবধি পাকা নাকি সেটা কুশলতা নির্ভর, সেসব জানার চেষ্টাও করি না। ভাবুন, আমেরিকায় এক স্কুল শিক্ষক শিক্ষকতায় মাইনে কম বলে বাস ড্রাইভারের চাকরি নিয়ে চলে যেতে দ্বিধাবোধ করে না কারন সেখানে মাইনে প্রায় ডবল এবং অন্যান্য সুযোগ অনেক বেশি। ফলে ওরা সরকারি শিক্ষকতার "স্ট্যাটাস সিম্বল" নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে জীবন উপভোগ করতে বেশি পছন্দ করে। কারন বিদেশে সরকারি চাকরিও পাকা নয়, "যোগ্যতা" না দেখাতে পারলে যে কোনদিন সেই চাকরি যেতে পারে।
আর এখানেই হল আসল কথাটা। যোগ্যতা। যা তৈরি হয় ছাত্রজীবনের "শিক্ষা" থেকে। যে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গেছে, দেখুন তো তারা তাদের ছাত্রজীবনে কোথা থেকে পড়াশোনা করেছে? দেখবেন প্রায় সবাই নামকরা কোন সিবিএসই বা আইসিএসই বোর্ডের স্কুল থেকে পড়েছে। বাংলা বোর্ডের স্কুলের নাম শুনলেই তারা এবং তাদের অভিভাবকরা স্বভাবসিদ্ধ ভাবে নাক কুঁচকেছে। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে তাদের ভরসার স্থল সেই আদি ও অকৃত্রিম বাংলা মিডিয়াম সরকারি স্কুল। সেখানে পড়াশোনা হোক আর নাই হোক। কারন সেই স্কুলে একবার শিক্ষক হিসেবে ঢুকে গেলে বাকি জীবন আর যোগ্যতার দরকার হয় না, কিন্তু ৬০ অবধি নিশ্চিত মাস মাইনে আর ৬০ এর পর পেনশন। অথচ উল্টোদিকে দেখুন, এইসব চাকরি প্রাপকরা যদি কোন বেসরকারি স্কুলে ঢুকত, তাহলে রোজ তাদের নতুন নতুন জ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে উন্নত করতে হত, চোস্ত ইংরেজি জানতে হত, নিজের কাজের বাইরেও স্কুলের অনেক রকমের কাজ জানতেই হত এবং করতেই হত, সংস্থার প্রধানকে দম্ভ সমেত না বলার জায়গায় তারা থাকত না। কারন এগুলো মেনে না চললে সবার অগোচরে একদিন তাদের চাকরি চলে যেত কিন্তু সেই নিয়ে কোন হৈ চৈ হত না। কারন, সেটা যে বেসরকারি চাকরি।
আর দুঃখটা এখানেই। এখানেই মেধা ও যোগ্যতার দৈন্যতা। যে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গেছে, তাদের একটুও ছোট না করে তাদের প্রতি সহানুভূতি রেখেই বলছি, যদি তারা সত্যিই যোগ্য হয়ে থাকেন, মেধাশীল হয়ে থাকেন, তাহলে এত হৈ চৈ কান্নাকাটি না করে তারা সুপ্রিম কোর্টের চ্যালেঞ্জটা গ্রহন করে দেখান। কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে চাকরির নতুন বিজ্ঞাপনে তারা তো আবেদন করবেন, সেটাই স্বাভাবিক - এবং তারাই যে এই চাকরির জন্য স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি, সেটা সেই পরীক্ষায় আরেকবার দেখিয়ে দেওয়া কি এতই কঠিন? তাহলে তো বলতে হয়, বেদ ও উপনিষদের জ্ঞান, স্বামী বিবেকানন্দের জ্ঞানযোগ ও কর্মযোগ, রবি ঠাকুরের "বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা/ বিপদে আমি না যেন করি ভয়" এসবের কোনো প্রভাব এদের ওপর পড়েনি।
নাকি রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত ভিতরের নলিশটা এই ২৬ হাজার শিক্ষকের ক্ষেত্রেও সত্যি বলে মেনে নিতে হবে - "আমাদের শিক্ষাকে আমাদের বাহন করিলাম না, শিক্ষাকে আমরা শুধু বহন করিয়াই চলিলাম"?
ডাক্তার, উকিল, ম্যানেজার, সাংবাদিক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে দেখেছি যে এনারা স্ব-ক্ষেত্রে শিক্ষা ও যোগ্যতা নির্ধারক ট্রেনিং শেষে কেউ সরকারি চাকরি করতে চান না, কারন সেক্ষেত্রে তাদের পসার বা "বেসরকারি প্র্যাকটিস" জমবে না। অর্থাৎ তারা তাদের মেধা ও যোগ্যতায় আত্মবিশ্বাসী। এই আত্মবিশ্বাস কোন কোন শহরের শিক্ষকদের মধ্যেও দেখেছি যারা জয়েন্ট এনট্রান্সের কোচিং করিয়ে এত ব্যস্ত থাকেন যে সরকারি চাকরি থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন। সেই আত্মবিশ্বাস, শিক্ষার সেই ঝলক, যোগ্যতার সেই কষ্টিপাথর এই ২৬ হাজার শিক্ষকের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না কেন?
সরকারি চাকরি যদি মানুষের জীবনে এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে তো দেশের ও রাজ্যের সমস্ত সরকারের উচিৎ সব প্রফেসনাল কোর্সের মধ্যেই অন্তত এক বছরের ইন্টার্নশিপ রাখা যার শিরোনাম হবে "হাউ টু ম্যানেজ গভর্মেন্ট জবস আফটার ইয়োর এডুকেশন" এবং সেই ইন্টার্নশিপ সব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা। কিন্তু আজ অবধি সেটা কি হয়েছে? হয়নি। বরং সরকার ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হাতে কলমে শেখা যায় এরকম সব "শিক্ষা"র ব্যবস্থা করে চলেছে যাতে যে কোনরকম "চাকরি"র ক্ষেত্রে তাদের "যোগ্যতা" বাড়ে। বোঝাতে পারলাম কি, ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষার হাত ধরে এগিয়ে চলা উচিৎ, যাতে ভবিষ্যতে চোখের জল ফেলতে না হয়? আসলে, শিক্ষা ও চাকরি বিষয়ে আমাদের গোটা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির বদল দরকার, এবং সেটা রক্ষণশীল ভাবে নয়, জীবনের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সামাজিক ভাবে, স্বাভাবিক ভাবে।
থ্রি ইডিয়্টস ছবির একটা কথা মনে পড়ে গেল, যেটা এখানে না বললেই নয়: "বাচ্চা, কাবিল বনো কাবিল, কামিয়াবি তো ঝক মারকে পিছে ভাগেগি..."।
(লেখক পশ্চিম বাংলার একটি কলেজের অধ্যক্ষ)