Tilottma wants justice
তিলোত্তমার বিচার চাই আহ্বানে মুখর কলকাতায় বই প্রকাশ অনুষ্ঠান
Bengal Times News, 11 September 2024
বেঙ্গল টাইমস নিউজ, কলকাতা : তিলোত্তমা কলকাতায় বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেও বিচার চাই শ্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক সূচনা হয়। তিলোত্তমা কলকাতার বুকে নারকীয়ভাবে খুন হওয়া তিলোত্তমার প্রতিদিনই মানুষ বিচার চাইছেন! রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা কবিতা কুটির সাহিত্য পত্রিকা ও অরিত্র প্রকাশনীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় কবিতা কুটির বার্ষিক সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন ও কবি, সাহিত্যিক, গুণীজনদের সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এই ধরনের বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো তিলোত্তমা কলকাতা! শিয়ালদহর কৃষ্ণপদ ঘোষ ট্রাস্ট মেমোরিয়াল হলে সামিনা খাতুনের সমসাময়িক খুবই একটি প্রাসঙ্গিক সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। একই সঙ্গে সবুজায়নের বার্তা দিতে বৃক্ষ শিশু দিয়ে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করা হয়। প্রকাশনা সংস্থার দুই কর্ণধার অতনু নন্দী ও টুম্পা নন্দীর আতিথেয়তায় সকলে মুগ্ধ হয়ে যান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দিতে গিয়ে অতনু নন্দী বলেন, আমরা গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে চলছি। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের অশুভ শক্তির নাশ করার জন্য সমবেতভাবে আরও এগিয়ে আসতে হবে। এই অনুষ্ঠানে এক টুকরো পশ্চিমবঙ্গকে হাজির করানোয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই এই মহতী অনুষ্ঠান সম্পর্কে উচ্চ প্রশংসা করেন। প্রকাশনা সংস্থার দুই কর্ণধার সহ, সমস্ত অ্যাডমিন এবং সমস্ত সদস্য, সদস্যারা উচ্চ প্রশংসার অধিকারী। অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি ও সাহিত্যিক আরণ্যক বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পঞ্চম উত্তরসূরী বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, আকাদামি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট কবি ও চিত্র পরিচালক নির্মাল্য বসু, সাংবাদিক, কবি ও শিক্ষক লুতুব আলি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরণ্যক বসু বলেন, আমার বয়স যদি ৪০ এর ঘরে থাকতো তাহলে আমি আর একটি কন্যা সন্তানের পিতা হওয়ার চেষ্টা করতাম। তিলোত্তমার সুবিচারের জন্য সকলকে গর্জে ওঠার জন্য আরো বৃহত্তর ভাবে সংঘবদ্ধ হতে হবে। অনুষ্ঠানের অন্যান্য বক্তারা বলেন, তিলোত্তমা তো বটেই সমস্ত কিছুর ব্যাপারে সুবিচারের জন্য আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রকাশনা সংস্থার মেঘমল্লার সংখ্যা প্রকাশ ছাড়াও ৯টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়। টুম্পা নন্দী বলেন, অরিত্র প্রকাশনী ও কবিতা কুটিরের মঞ্চ থেকে শতাধিক কবি ও সাহিত্যিক এবং গুণীজনেরা সংবর্ধিত হলেন। সাহিত্য জগতের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সমস্ত গুণীজনদের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে এক চাঁদের হাট বসেছিল। এ যেন মহামিলনের এক মিলন মঞ্চ যেখান থেকে তিলোত্তমার বিচার চাওয়ার ডাক উঠলো, নীরবতা পালন করার পাশাপাশি তিলোত্তমার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে যে সমস্ত কবি ও সাহিত্যিকদের বই প্রকাশ হয় সেগুলি হল আমি বৃষ্টি হতে চাই.... কবি ইন্দ্রানী কুন্ডু, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী শতক.... ড: ধুর্জ্যোটি সেনগুপ্ত, একমুঠো অনুরাগ... ছন্দা দাস, ভালো থেকো আকাশ.... খোকন দাস, নিস্তব্ধতার টেবিল ও একটি দাঁড় কাক.... রাজরুল ইসলাম, শাশ্বতী.... দীপক প্রসাদ, সাহিত্য সম্প্রীতির বন্ধনে সম্পাদনায় চঞ্চল প্রামাণিক, তারা রাজ্যে লুব্ধক... সম্পাদিকা প্রমিস চৌধুরী। এছাড়াও কবিতা কুটির সাহিত্য পত্রিকা মেঘ মল্লার সংখ্যা যৌথ সম্পাদনায় টুম্পা নন্দী ও সুপর্ণা সেন। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট কবি প্রমিস চৌধুরী।