Para Teacher
পশ্চিমবঙ্গের ৪৮ হাজার প্যারা টিচার হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন
Bengal Times News, 25 August 2023
জগন্নাথ ভৌমিক, কলকাতা : আসন্ন শারদ উৎসবের প্রাক্কালে প্যারা টিচারদের জন্য কি কোন সুখবর আসতে চলেছে ? এই প্রশ্নই এখন সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৪৮ হাজার প্যারা টিচারদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে প্যারা টিচারদের বেতন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্র এবং রাজ্যের রিপোর্ট তলব করায় আশায় বুক বাঁধছেন প্যারা টিচাররা।
প্যারা টিচারদের সংগঠন প্যারা টিচার ঐক্যমঞ্চ তাদের বেতন বৈষম্য নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের স্টাফদের বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে ২০২০ সালের ১১ মার্চ রাজ্যের ও এস ডি এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অফ স্কুল এডুকেশন কে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেলের সেন্ট্রাল কমিটির কনভেনার জয়দেব গিরি। শুধু তাই নয় তিনি বেতন বৈষম্য নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেও চিঠি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কনসুলেটেড পে নিয়ে একটা স্ট্রাকচারও দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে অতিমারি করোনা কেড়ে নিয়েছে জয়দেব বাবুর প্রাণ। কিন্তু প্যারাটিচারদের বেতন বৈষম্যের কোনও উন্নতি হয়নি। তবে প্যারা টিচার ঐক্যমঞ্চের নেতা ভগীরথ ঘোষ সহ অন্যান্যরা লড়ে যাচ্ছেন।
রাজ্যে অশিক্ষক কর্মীদের থেকেও কম বেতন পাচ্ছেন প্যারা টিচাররা
সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় রাজ্যে অশিক্ষক কর্মীদের থেকেও কম বেতন পাচ্ছেন প্যারা টিচাররা। তাদের বেতন বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নেতা মইদুল ইসলামও সরব হয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। দীর্ঘ সময় বঞ্চিত এবং অবহেলিত হয়ে প্যারা টিচাররা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই রাজ্যের শিক্ষা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেছে। রাজ্যে প্যারা টিচারদের বেতন গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের থেকেও কম। এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ২৫ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে প্যারা টিচারদের বেতন সংক্রান্ত মামলা। জানা যায়, এই মামলার শুনানিতেই সর্বশিক্ষা মিশন, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইতেই আশায় বুক বাঁধছেন প্যারা টিচাররা।
প্যারাটিচাররা জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের ভাতা দেয়, বেতন দেয় না। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট নেই। প্যারা টিচাররা সরকারি কর্মচারি ও সহ-শিক্ষকদের মতো কোনও রকম আর্থিক সুবিধা পায় না। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইলেই বিদ্যালয়ের সহশিক্ষকদের মতো প্যারা টিচারদেরও বেতন কাঠামোসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দিতে পারে।