E-waste Drive
ই - বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভারতে আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাবগুলোর বিশেষ উদ্যোগ
Bengal Times News, 30 January 2023
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : ইলেকট্রনিক বর্জ্য ক্রমশ গোটা পৃথিবীকে গ্রাস করতে চাইছে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ভারতের জন্য এটি একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। ই- বর্জ্য বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। যা মানব সভ্যতাকে চরম সঙ্কটের কিনারে নিয়ে এসেছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে মানুষকে সুরাহা দিতে এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব। আর এই কর্মকাণ্ড ভারত থেকেই শুরু হয়েছে। ই- বর্জ্য নিয়ে বর্ধমানের লায়ন্স ক্লাবগুলো সম্মিলিত ভাবে এক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ বর্ধমান লায়ন্স ক্লাবে ই- বর্জ্য "দান ও ডাম্প" করার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। উপস্থিত ছিলেন লায়ন্সের প্রাক্তন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর আব্দুল মালেক, ওমপ্রকাশ যশ, শুভাশীষ চ্যাটার্জী, বর্ধমান লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জহর মন্ডল সহ কাঞ্চন সোম, কিরণ শংকর মন্ডল, রাজকুমার সাহানা, রেখা যশ, উদয় কোনার, প্রসেনজিৎ দত্ত, ই-ওয়েস্ট ড্রাইভ বর্ধমান শহর এলাকার লায়ন্স ক্লাবগুলোর কো-অর্ডিনেটর আনিসুর রহমান, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী এবং অন্যান্যরা।
এদিন জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা কিছু ই- বর্জ্য লায়ন সুতপা মন্ডল, সমিতা বসাক, সুমিতা রায়চৌধুরী ও অর্পিতা নন্দী'র কাছ থেকে গ্রহণ করে ই- বর্জ্য "দান ও ডাম্প" প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ৩২২ সি ৩ এর প্রাক্তন জেলাপাল আব্দুল মালেক জানান, বিশ্বের বৃহত্তম ই-ওয়েস্ট ড্রাইভে লায়ন্স ক্লাব গুলোর সাথে ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক লায়ন্সের থার্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট এ পি সিং। আব্দুল মালেক এর মুখ থেকে শুনুন এই কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপট।
অবৈজ্ঞানিকভাবে ই- বর্জ্য গলানোর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে ই- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অভিযান চলছে এবং এর ফলে ই- বর্জ্য "দান ও ডাম্প" করার প্রয়োজনীয়তা বৃহত্তর সমাজের কাছে পৌঁছে দেবার কর্মসূচিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ই-ওয়েস্ট ড্রাইভ বর্ধমান শহর এলাকার লায়ন্স ক্লাবগুলোর কো-অর্ডিনেটর আনিসুর রহমান।
এই প্রসঙ্গে আব্দুল মালেক বলেন, ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, পিসি, মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন বর্জ্য এবং গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি যেমন রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ইত্যাদি সঠিকভাবে নিষ্কাশন না করা হলে তা পরিবেশগত বিপদ এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকির দিকে নিয়ে যায়। প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের মতো উপাদান যাতে সীসা এবং ক্যাডমিয়াম থাকে স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি, লিভারকে প্রভাবিত করে; সুইচ এবং ফ্ল্যাট স্ক্রিন মনিটর যাতে বুধ থাকে মস্তিষ্ক এবং ত্বককে প্রভাবিত করে, লিড অক্সাইড, বেরিয়াম এবং ক্যাডমিয়াম ধারণকারী ক্যাথোড রে টিউব হার্ট, লিভার, পেশী ইত্যাদিকে প্রভাবিত করে। ভারতের আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব থেকে যে ই-ওয়েস্ট (E-waste Drive) এই ব্যপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এই ই-বর্জ্য সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করেছে।